রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের পোনাবো গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।

এ সময় বাধা দেওয়ায় ১০-১২জনকে কুপিয়ে ছাত্রদল নেতা রাজিব মিয়াকে তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রাজিবের পরিবারের পক্ষ থেকে রূপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের পোনাবো এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসার চেষ্টা করছে কাজী মনিরুজ্জামান সমর্থিত রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম বাবু।

তার নেতৃত্বে শুক্রবার দুপুরে ছাত্রদলের অর্ধশত নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দিপু ভুঁইয়া সমর্থিত নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় বাধা দেয়ায় পোনাবো গ্রামের বাসিন্দা মুনসুর আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৪০) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ সময় নারীসহ আরো ১০জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। ছাত্রদল নেতা রাজিব (৩৪) কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তুলে নিয়ে যায়। পরে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে রাজিবকে মুক্তি দেয় হামলাকারী অপহরণকারীরা। 

ছাত্রদল নেতা রাজিব জানান, ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম বাবুর ছোট ভাই মর্তুজাবাদ গ্রামের মঞ্জুর হোসেনের ছোট ছেলে, কালী গ্রামের কাউছার, তাদের সহযোগি বাদশা, শান্ত, ফারুক, ইমরানসহ ৫০-৬০জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এ হামলা চালায়। হামলায় আহতদের স্থাণীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম বাবু জানান, বৃহস্পতিবার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছি। হামলার ঘটনাটি আমার জানা নেই। যারা হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থাগ্রহন করা হোক।

রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, এ ব্যাপারে রাজিব মিয়া বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। হামলাকারীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।   
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ছ ত রদল ন ত র পগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

চলে গেলেন মধুমতী

বলিউড অভিনেত্রী মধুমতী মারা গেছেন। গতকাল মৃত্যু হয় ৮৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন মধুমতী। গতকাল ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
মধুমতীর আসল নাম ছিল হুটোক্সি রিপোর্টার। ধর্মেন্দ্র থেকে দিলীপ কুমার ও জিতেন্দ্রর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি নৃত্যশৈলের জন্যও সুনাম ছিল মধুমতীর। বলিউড অভিনেত্রী হেলেনের সঙ্গে তাঁর প্রায়ই তুলনা করা হতো। ‘আঁখে’, ‘টাওয়ার হাউজ়’, ‘শিকারি’, ‘মুঝে জিনে দো’র মতো ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি।

বলিউডের বিন্দু দারা সিং, অক্ষয় কুমার, চাঙ্কি পান্ডে, জসবিন্দ্র নরুলা শোক প্রকাশ করেছেন। মধুমতী বলিউডে অভিনয় ও নৃত্য প্রশিক্ষক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। শিল্পীর মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর ছাত্রছাত্রীরাও।
গতকাল বিকেলেই বুওশিওয়ারা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অভিনেত্রীর। বিন্দু দারা সিং মধুমতীর মৃত্যুতে লিখেছেন, ‘শিক্ষিকা ও পথপ্রদর্শক মধুমতীজির আত্মার শান্তি কামনা করি। সবার ভালোবাসা ও আশীর্বাদ নিয়ে তিনি এক সুন্দর জীবনযাপন করেছেন। আমরা অনেকেই তাঁর থেকে নাচ শিখেছি।’

মধুমতীর জন্ম ১৯৩৮ সালে। ১৯৫৭ সালে এক মারাঠি ছবিতে নৃত্যশিল্পী হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল। ছোটবেলা থেকে নাচের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল তাঁর। ভরতনাট্যম, কত্থক, কথাকলি ও মণিপুরির মতো নৃত্যের প্রশিক্ষণ ছিল তাঁর। পাশাপাশি বলিউডের ছবিতেও নাচের দক্ষতা ছিল।

আরও পড়ুনক্যানসারে মারা গেছেন ‘মহাভারত’ অভিনেতা১১ ঘণ্টা আগে

নৃত্যশিল্পী দীপক মনোহরকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তখন মধুমতীর বয়স মাত্র ১৯। দীপক বয়সে অনেকটা বড় ছিলেন এবং চার সন্তানের বাবা ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয় অল্প বয়সে। তারপর মধুমতীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ