গুলশানে লেকের রাস্তায় তরুণকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
Published: 16th, November 2025 GMT
রাজধানীর গুলশান লেকের রাস্তা থেকে সাইদুর ইসলাম সৌরভ (২৭) নামের এক তরুণের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গুলশান থানা–পুলিশ। গতকাল শনিবার ও এর আগের দিন শুক্রবার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রুবেল (২৩), শামীম ওরফে পিচ্চি শামীম (২৭) ও মো.
গুলশান থানা সূত্রে জানা যায়, ১০ নভেম্বর গুলশান লেকের রাস্তার ওপর থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা–পুলিশ। পরে পুলিশ তাঁর পরিচয় শনাক্ত করে। এ ঘটনায় নিহতের বোনের স্বামী মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন।
গুলশান থানা সূত্রে আরও জানা যায়, মামলা করার পর থানা–পুলিশের একটি টিম গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করে। একপর্যায়ে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে পিরোজপুর সদর থানাধীন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রুবেলকে এবং গতকাল (১৫ নভেম্বর) ভাটারা থানাধীন বালুর মাঠ হাজারী গলি এলাকা থেকে আকাশকে ও মাদারীপুরের শিবচর এলাকা থেকে শামীম ওরফে পিচ্চি শামীমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার (চাকু) উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ভাটারা খিলবাড়িরটেক এলাকার জনৈক মামুনের বাড়িতে দুই বছর আগে ভাড়া থাকতেন রুবেল। সৌরভ ছিলেন ওই বাড়ির মালিক মামুনের গাড়িচালক। এ সুবাদে রুবেলের বাসায় তাঁর যাতায়াত ছিল। একসময় মামুনের মেয়ের সঙ্গে সৌরভের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় এবং রুবেলের স্ত্রীর প্রতিও তাঁর নজর পড়েছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। এসব কারণে দেড় বছর আগে সৌরভকে চাকরিচ্যুত করেন বাড়ির মালিক। পরে সৌরভ আবার মামুনের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে দেওয়ার জন্য রুবেলকে চাপ দিলে রুবেল ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকা ছেড়ে যান এবং সৌরভকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সহযোগীদের নিয়ে গুলশান লেকের রাস্তায় সৌরভকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তার রুবেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আবারও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চাইলেন জেলেনস্কি
রাশিয়ার হামলায় কিয়েভে সাতজন নিহত হওয়ার এক দিন পর আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবারও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার আবেদন জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
গত শুক্রবার কিয়েভের কয়েকটি আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। এতে এক নারীসহ মোট সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৯৮৬ সালের দুর্ঘটনায় নিহত অপারেটর ভিক্তরের স্ত্রী নাতালিয়া খোদিনমচুকও রয়েছেন। ওই দুর্ঘটনার সময় ইউক্রেন তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাই প্রায় চার দশক পর রাশিয়ার কারণে ভিক্তরের স্ত্রীর মৃত্যু হওয়ায় বিশেষভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি।
শনিবার দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় অন্তত চারজন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। প্রায় চার বছর ধরে ইউক্রেনে এভাবে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন শীত মৌসুমকে সামনে রেখে দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের জীবন বাঁচানোর মতো সহায়তা দরকার। আমাদের আরও বেশি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, আরও সুরক্ষা এবং অংশীদারদের দৃঢ় অবস্থান প্রয়োজন।’
শনিবার ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা মস্কোর কাছে রিয়াজান অঞ্চলে রাশিয়ার একটি তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে। শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার সক্ষমতা কমাতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।
রিয়াজানের গভর্নর পাভেল মালকভ জানিয়েছেন, সারা রাতে ইউক্রেনের ২৫টি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে। ড্রোনের একটি ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগলেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।