গ্রামে পরিচিত, শহরে প্রায় হারিয়ে গেছে: ডেউয়া ফলের গুরুত্ব আজ আরও বেশি কেন?
Published: 26th, May 2025 GMT
এমন অনেক দেশি ফল আছে, যেসব খুব বেশি পরিচিত না হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর। তেমন একটি ফল ডেউয়া। গ্রামাঞ্চলে বেশ পরিচিত হলেও শহরাঞ্চলে অপ্রচলিতই বলা চলে। অঞ্চলভেদে কেউ একে ডাকে ঢেউয়া, ডেলোমাদার, ডেউফল কিংবা ঢেউফল নামে। দেখতে এবড়োখেবড়ো ও কাঁঠালের খুদে সংস্করণের মতো ফলটির কোষগুলো হলুদ রঙের। পাকলে এই কোষ হয় অতি মোলায়েম। কাঁচা ফল সবুজ, পাকলে হলুদ। ভেতরের শাঁস লালচে হলুদ। কাঁচা থাকতে স্বাদ টকটক। পাকলে আবার অন্য স্বাদ। সেটা না টক না মিষ্টি। রান্না করেও খাওয়া যায়। চাহিদা কমে যাওয়ায় গ্রামে এ ফলের চাষ কমে গেছে। সঙ্গে কমছে দেশি এ ফলের কদর। অথচ পুষ্টিগুণে কাঁঠালের কাছাকাছি এ ফলের গুরুত্ব একটুও কম নয়।
ডেউয়াগাছ চিরসবুজ বৃক্ষ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১০ মিনিটের রাস্তা শেষ হয় না দুই ঘণ্টায়ও
বাসে চেপে রূপগঞ্জের রূপসী থেকে ভুলতা যাচ্ছিলেন গৃহবধূ নাজমা আক্তার। রূপসী থেকে ভূলতা যেতে সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। অথচ দুই ঘণ্টাতেও পৌছাঁতে পারেননি। এতটা সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজটে আটকে ছিলেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন নাজমার মতো হাজারো মানুষ।
নাজমা আক্তার বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকে। যানজটের কারণে সাধারণ মানুষ ভীষণ ভোগান্তিতে পড়ছে।
রূপগঞ্জের ভূলতা, বরপা, রূপসী, বরাবো, বিশ্বরোড ও যাত্রামুড়া এলাকাজুড়ে এ যানজটে আটকা পড়তে দেখা গেছে মালবাহী ও যাত্রাবাহীসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।
জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি আট লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন সিলেট, ভৈরব, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলার শত শত দূরপাল্লার মালবাহী ট্রাক, বাস ও অন্যান্য গণপরিবহণ চলাচল করে। রাস্তার কাজ চলার কারণে যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে না। এতে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। এ ছাড়া অবৈধ বাসস্ট্যান্ড, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো নামানো, নিয়ম ভঙ্গ করে বিপরীত দিকে গাড়ি চলাচল, সড়কের প্রশস্ততা কম হওয়া ও সড়কে গাড়ি বিকল হওয়ার কারণেও যানজটের সৃষ্টি হয়।
মনির হোসেন নামে এক বাসচালক বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজ চলার কারণে এখানে প্রতিদিন যানজট লেগে থাকে। যানজটের কারণে তাদের অনেক সময় চলে যায়, আয়ও কম হয়।
ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান মিজান বলেন, তাদের লোকবল কম। এরপরও রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন।