Samakal:
2025-08-11@19:52:11 GMT

ভেঙে গেল ১৬ বছরের সংসার

Published: 21st, June 2025 GMT

ভেঙে গেল ১৬ বছরের সংসার

১৬ বছর পর দাম্পত্য জীবনের ইতি টানছেন ভারতীয় অভিনয়শিল্পী লতা সাবরেওয়াল ও সঞ্জীব সেঠ। শনিবার এক বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে লতা সাবরেওয়াল লিখেছেন, ‘আমি আর আমার স্বামী আলাদা হয়ে গেছি। আমাদের একটি পুত্রসন্তান আছে। আমি তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা জানাই। সবাইকে অনুরোধ করব, আমার ও আমার পরিবারের মানসিক শান্তির কথা বিবেচনা করে কেউ এ বিষয়ে প্রশ্ন করবেন না বা ফোন করবেন না। কৃতজ্ঞতা।’

টেলিভিশনের দীর্ঘদিন চলা ‘ইয়ে রিশতা ক্যা কহলাতা হ্যায়’ জিরিজে অভিনয় করেছিলেন লতা ও সঞ্জীব। সেখান থেকেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০০৯ সালে তারা বিয়ে করেন। তাদের একটি ছেলে আছে। নাম আরভ। এটি সঞ্জীব সেঠের দ্বিতীয় বিয়ে।

এর আগে তিনি ১৯৯৩ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত অভিনেত্রী রেশম তিপনিসের সঙ্গে সংসার করেছেন। সেই সংসারে তাদের রয়েছে একটি কন্যা রিশিকা ও এক পুত্র মানব। ২০১৩ সালে এই জুটি ‘নাচ বালিয়ে ৬’-এও অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে তাদের রসায়ন দর্শকদের মন জয় করেছিল।

লতা সাবরেওয়াল ‘ইশ্ক বিশ্ক’, ‘বিবাহ’, ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’র মতো বলিউড ছবিতেও অভিনয় করেছেন। তবে তার সবচেয়ে বেশি পরিচিতি এসেছে রাজশ্রী গোয়েল মহেশ্বরীর চরিত্রে ‘ইয়ে রিশতা ক্যা কহলাতা হ্যায়’ ও ‘ইয়ে রিশতে হ্যায় প্যায়ার কে’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে।

এ ছাড়া তিনি ‘ইশ্ক মে মারজাওয়া’, ‘নাগিন’, ‘ঘর এক স্বপ্না’র মতো ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন। ২০২১ সালে লতা ঘোষণা করেন, তিনি টেলিভিশন ছেড়ে এখন থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে বেশি মনোযোগ দেবেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ বিক্রি হচ্ছে

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের একটি অংশ বিক্রি হচ্ছে। এসব সম্পদ বিক্রি করে তাঁর দায়দেনা পরিশোধ করা হবে।  সোমবার ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামানের মালিকানাধীন ছয়টি আবাসন কোম্পানি দেশটির প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় চলে গেছে। এসব কোম্পানির মাধ্যমে সে দেশে সাইফুজ্জামানের বিভিন্ন সম্পদ পরিচালিত হতো।

টেলিগ্রাফ বলেছে, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করার পর যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামানের সম্পদের সাম্রাজ্যের বিষয়টি সামনে আসে। দেশটিতে তাঁর তিন শতাধিক প্রোপার্টি (বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট) রয়েছে। এগুলোর মূল্য ১৭ কোটি পাউন্ড। অভিযোগ রয়েছে, ব্রিটেনে অর্থ পাচার করে এসব সম্পদ করেছেন তিনি।

বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) গত জুনে সাইফুজ্জামানের বেশ কিছু সম্পদ জব্দ করে। তার মধ্যে নর্থ লন্ডনের সেন্ট জনস উড এলাকায় ১১ মিলিয়ন পাউন্ডের বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া সেন্ট্রাল লন্ডনের ফিটসরোভিয়া এলাকায় অনেকগুলো ফ্ল্যাট রয়েছে।

এখন যুক্তরাজ্যের সম্পদ ব্যবস্থাপনাপ্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ট থর্নটনের প্রশাসকেরা সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের একটি অংশ বিক্রির দায়িত্ব পেয়েছেন। সাইফুজ্জামানের এসব সম্পদ হলো লন্ডন ও ইংল্যান্ডের দক্ষিণ–পূর্বের বিভিন্ন শহরে থাকা আবাসিক ভবন। এসব সম্পদ বিক্রি থেকে যে অর্থ আসবে, তা ঋণদাতাদের অর্থ পরিশোধে ব্যয় করা হবে। ঋণদাতাদের মধ্যে সিঙ্গাপুরের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ডিবিএস এবং ব্রিটিশ আরব কমার্শিয়াল ব্যাংক রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের কোম্পানিজ হাউসে জমা পড়া আবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কাছ থেকে ৩৫ কোটি ডলার সমপরিমাণের অর্থ ফেরত চাইছে।

বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ সরকার–ঘনিষ্ঠ অনেকের দেশ–বিদেশে থাকা অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাইফুজ্জামান ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান এফ রহমান ও ভাতিজা আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দ করেছে এনসিএ।

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি জব্দ১১ জুন ২০২৫আরও পড়ুনলন্ডনে সালমানের ছেলে ও ভাতিজার ১,৪৭৯ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ২৪ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ