Samakal:
2025-11-17@12:24:39 GMT

ভেঙে গেল ১৬ বছরের সংসার

Published: 21st, June 2025 GMT

ভেঙে গেল ১৬ বছরের সংসার

১৬ বছর পর দাম্পত্য জীবনের ইতি টানছেন ভারতীয় অভিনয়শিল্পী লতা সাবরেওয়াল ও সঞ্জীব সেঠ। শনিবার এক বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে লতা সাবরেওয়াল লিখেছেন, ‘আমি আর আমার স্বামী আলাদা হয়ে গেছি। আমাদের একটি পুত্রসন্তান আছে। আমি তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা জানাই। সবাইকে অনুরোধ করব, আমার ও আমার পরিবারের মানসিক শান্তির কথা বিবেচনা করে কেউ এ বিষয়ে প্রশ্ন করবেন না বা ফোন করবেন না। কৃতজ্ঞতা।’

টেলিভিশনের দীর্ঘদিন চলা ‘ইয়ে রিশতা ক্যা কহলাতা হ্যায়’ জিরিজে অভিনয় করেছিলেন লতা ও সঞ্জীব। সেখান থেকেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০০৯ সালে তারা বিয়ে করেন। তাদের একটি ছেলে আছে। নাম আরভ। এটি সঞ্জীব সেঠের দ্বিতীয় বিয়ে।

এর আগে তিনি ১৯৯৩ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত অভিনেত্রী রেশম তিপনিসের সঙ্গে সংসার করেছেন। সেই সংসারে তাদের রয়েছে একটি কন্যা রিশিকা ও এক পুত্র মানব। ২০১৩ সালে এই জুটি ‘নাচ বালিয়ে ৬’-এও অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে তাদের রসায়ন দর্শকদের মন জয় করেছিল।

লতা সাবরেওয়াল ‘ইশ্ক বিশ্ক’, ‘বিবাহ’, ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’র মতো বলিউড ছবিতেও অভিনয় করেছেন। তবে তার সবচেয়ে বেশি পরিচিতি এসেছে রাজশ্রী গোয়েল মহেশ্বরীর চরিত্রে ‘ইয়ে রিশতা ক্যা কহলাতা হ্যায়’ ও ‘ইয়ে রিশতে হ্যায় প্যায়ার কে’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে।

এ ছাড়া তিনি ‘ইশ্ক মে মারজাওয়া’, ‘নাগিন’, ‘ঘর এক স্বপ্না’র মতো ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন। ২০২১ সালে লতা ঘোষণা করেন, তিনি টেলিভিশন ছেড়ে এখন থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে বেশি মনোযোগ দেবেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু হাফসা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আরেক আসামি গ্রেপ্তার

পাবনা পৌর সদরের উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া এলাকায় ৯ বছরের শিশু শিক্ষার্থী হাফসা হত্যার ঘটনায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) দায়ের করা মামলায় আরো এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মামলার নামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার হলো।

গ্রেপ্তাররা হলেন, পাবনা পৌর সদরের উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া মহল্লার টিপু সরদারের ছেলে সাব্বির সরদার (২৬), ছবেদ আলীর ছেলে রমজান আলী (৩০) ও খালেক সরদারের ছেলে পান্না সরদার (২৮)। এদের মধ্যে সাব্বির ও রমজানকে রবিবার এবং পান্নাকে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

‘আবর্জনার মতো লাগে’ বলে অর্ধশত বকুলগাছ কাটা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার

বরগুনায় নাশকতার অভিযোগে ৩ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার 

এদিকে, শিশু হাফসাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্য করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।

পাবনা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহত হাফসার মা রিতু খাতুন বাদী হয়ে সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনজন নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে পাবনা টেক্সটাইল কলেজ এলাকা থেকে অভিযুক্ত পান্না সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মামলার প্রধান অভিযুক্ত নামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এদিকে, শিশু হাফসা হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে জেলা প্রশাসক কর্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা। সেখানে নিহত শিশু শিক্ষার্থী হাফসার স্বজন ও এলাকাবাসী বক্তব্য দেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে তারা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। অন্যত্থায় আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন।

এ সময় প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।

এর আগে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে শিশু হাফসাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে প্রায় ২ ঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে বাড়ির পেছনের জঙ্গলের ভেতর পাটিতে মোড়ানো কাদা মাখা অবস্থায় হাফসার মরদেহ পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতেই সন্দেহভাজন হিসেবে রমজান ও সাব্বির নামের দুইজনকে আটক করা হয়।

নিহত হাফসা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের প্রবাসী হাফিজুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

হাফসার নানার বাড়ির পাশের বাগানটি দীর্ঘদিন ধরে বখাটে, মাদকসেবী ও জুয়ারুদের আড্ডাস্থল ছিল বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাবনা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, “মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে শিশু হাফসাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এছাড়া পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয়েছে।”

ঢাকা/শাহীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ