স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ঢামেক ছাত্র-শিক্ষকরা
Published: 23rd, June 2025 GMT
সংকট সমাধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) অধ্যক্ষ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
সোমবার (২৩ জুন) বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দপ্তরে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কামরুল আলম, পাঁচ জন ছাত্র, দুই জন ছাত্রীসহ মোট ৮ সদস্যর টিম স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গেছে।
গত ২৮ মে থেকে আবাসন সংকট নিরসনে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢামেক শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। গত ৬ জুন থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেন। এর মধ্যে শনিবার কলেজ প্রশাসন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হল পরিদর্শনের দাবি জানান। পরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা টেলিফোনে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানান।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো– নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণের জন্য দ্রুত বাজেট পাস; আবাসন ব্যবস্থা নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; নতুন একাডেমিক ভবনের জন্য আলাদা বাজেট পাস করা; আবাসন ও একাডেমিক ভবনের বাজেট পৃথকভাবে অনুমোদন ও দ্রুত দৃশ্যমান বাস্তবায়ন; সব প্রকল্প ও কার্যক্রমে স্বচ্ছতার জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিয়োগ করা।
ঢাকা/বুলবুল/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ য উপদ ষ ট র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বললেন ঢাবি ভিসি
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আবারো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার বিষয়টি জানালেন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত ২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এই ঘোষণা দেন।
গতকাল ঢাবির ১৮টি হলে কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এরপর থেকেই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এদিন রাত ১২টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। রাত ১টার পর আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ঢাবি উপচার্য বলেন, “২০২৪ সালের ১৭ জুলাই হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেটিই বহাল থাকবে এবং প্রত্যেক হল প্রশাসন এই নীতিমালার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত হল কমিটি নিয়ে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দেন তিনি। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে হল পলিটিক্সের সম্পূর্ণ অবসান দাবি করেন।
এসময় তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে—
ছাত্রদল কেন কমিটি দিলো উপাচার্যকে জবাব দিতে হবে; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামসহ হলে এক্সিসটিং গুপ্ত কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের হল একাডেমিক এরিয়ায় রাজনীতির সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে ছাত্ররাজনীতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দিতে হবে; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব হল কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে; হল প্রভোস্টদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে এবং দ্রুত ডাকসু বাস্তবায়ন করতে হবে।
ঢাকা/সৌরভ/ইভা