সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের নেত্রী চম্পা ভুইয়ার নেতৃত্বে একটি ফ্ল্যাটে আওয়ামী লীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সেখানে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও কেক কাটার অনুষ্ঠান।

সোমবার (২৩ জুন) সকালে একটি ফ্ল্যাট বাসায় নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। সেখানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড দিয়েছে চম্পা।

ভিডিওতে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিচ্ছে ‘শুভ শুভ শুভ দিন, আওয়ামীলীগের জন্মদিন’। ‘কে বলেরে মুজিব নাই, মুজিব সারা বাংলায়’। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’।

আর ভিডিও নিচে চম্পা লিখেন, আওয়ামী লীগের ৭৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন। ভয়কে জয় করে সামনের দিকে এগিয়ে চলার নামই জীবন। রাজপথে ছিলাম রাজপথে আছি। রাজপথে থাকবো, দলের দুঃসময় এবং সুসময় সমানভাবেই আছি জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

অনুষ্ঠান শেষে আরও একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড দিয়েছে চম্পা। ওই ভিডিওটি নদীতে নৌকা ভ্রমণের। চম্পা গান গাইছে এবং  জয়বাংলা শ্লোগান দিচ্ছে তার অনুসারীদের নিয়ে।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে সর্বত্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তোলপাড় চলছে প্রশাসনে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

শাহিনুর আলম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে তারা কেউই পরিচিত নন। মনে হচ্ছে এটা সিদ্ধিরগঞ্জের বাহিরে কোথাও হবে।  কোথায় এ অনুষ্ঠানটি হয়েছে তা খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত: সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী চম্পার বাড়ি সিদ্ধিরগঞ্জে ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায়।

সে  সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের এক নেতার ভাগ্নি বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা আরও জানায়, ধারনা করা হচ্ছে মিজমিজ এলাকার কোন একটি ফ্ল্যাটে কেক কাটার অনুষ্ঠানটি করা হয়েছে।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ স দ ধ রগঞ জ থ ন অন ষ ঠ ন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু হাফসা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আরেক আসামি গ্রেপ্তার

পাবনা পৌর সদরের উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া এলাকায় ৯ বছরের শিশু শিক্ষার্থী হাফসা হত্যার ঘটনায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) দায়ের করা মামলায় আরো এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মামলার নামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার হলো।

গ্রেপ্তাররা হলেন, পাবনা পৌর সদরের উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া মহল্লার টিপু সরদারের ছেলে সাব্বির সরদার (২৬), ছবেদ আলীর ছেলে রমজান আলী (৩০) ও খালেক সরদারের ছেলে পান্না সরদার (২৮)। এদের মধ্যে সাব্বির ও রমজানকে রবিবার এবং পান্নাকে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

‘আবর্জনার মতো লাগে’ বলে অর্ধশত বকুলগাছ কাটা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার

বরগুনায় নাশকতার অভিযোগে ৩ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার 

এদিকে, শিশু হাফসাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্য করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।

পাবনা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহত হাফসার মা রিতু খাতুন বাদী হয়ে সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনজন নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে পাবনা টেক্সটাইল কলেজ এলাকা থেকে অভিযুক্ত পান্না সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মামলার প্রধান অভিযুক্ত নামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এদিকে, শিশু হাফসা হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে জেলা প্রশাসক কর্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা। সেখানে নিহত শিশু শিক্ষার্থী হাফসার স্বজন ও এলাকাবাসী বক্তব্য দেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে তারা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। অন্যত্থায় আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন।

এ সময় প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।

এর আগে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে শিশু হাফসাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে প্রায় ২ ঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে বাড়ির পেছনের জঙ্গলের ভেতর পাটিতে মোড়ানো কাদা মাখা অবস্থায় হাফসার মরদেহ পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতেই সন্দেহভাজন হিসেবে রমজান ও সাব্বির নামের দুইজনকে আটক করা হয়।

নিহত হাফসা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের প্রবাসী হাফিজুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

হাফসার নানার বাড়ির পাশের বাগানটি দীর্ঘদিন ধরে বখাটে, মাদকসেবী ও জুয়ারুদের আড্ডাস্থল ছিল বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাবনা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, “মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে শিশু হাফসাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এছাড়া পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয়েছে।”

ঢাকা/শাহীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ