তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলচ্চিত্র সংরক্ষণে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভকে উদ্যোগ নিতে হবে। এর জন্য প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। 

মঙ্গলবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ইতিহাস ও ঐতিহ্য-বিষয়ক দলিলাদি এবং দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র সংরক্ষণে ফিল্ম আর্কাইভ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

প্রামাণ্যচিত্র সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ফিল্ম আর্কাইভকে  বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকেন্দ্রিক প্রামাণ্যচিত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। আর্কাইভে মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র সংরক্ষণেরও তাগিদ দেন তিনি।

ফিল্ম ম্যাগাজিন সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন গ্রন্থাগার থেকে গত ৫০ বছরের ফিল্ম ম্যাগাজিন সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন থেকেও চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট প্রমাণক সংগ্রহ করতে হবে।

মাহফুজ আলম বলেন, বর্ষীয়ান ও গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের লেখা ও সাক্ষাৎকার সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, আর্কাইভে সংরক্ষিত সব ফিল্মের ডিজিটাল ক্যাটালগ প্রস্তুত করতে হবে। এর ফলে চলচ্চিত্র গবেষক ও শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। 

এসময় তথ্য উপদেষ্টা ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো.

আবদুল জলিল। বক্তব্যে তিনি ফিল্ম আর্কাইভের কার্যক্রম, সীমাবদ্ধতা ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন। সভায় ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ফারহানা রহমানসহ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভার আগে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হল, ফিল্ম মিউজিয়াম, ফিল্ম হাসপাতাল, ফিল্ম ভল্ট ও লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র স উপদ ষ ট স গ রহ

এছাড়াও পড়ুন:

যাচাই-বাছাই ছাড়াই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন হাসনাত: দুদক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি পোস্ট দৃষ্টি গোচর হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। সংস্থাটি বলছে, পোস্টটিতে তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুদকের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন।এ বিষয়ে সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, একটি প্রতারক দুদকের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে আসছে। এর সঙ্গে দুদকের কর্মকর্তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। 

মঙ্গলবার দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, দুদক ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রতারক চক্রের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগেও দুদক প্রতারণা রোধে সবাইকে সতর্ক করে আসছে। যা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমন প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুদককে দোষারোপ করে, যার ফলে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, প্রতারণামূলক ফোন কল, বার্তা বা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে কারও কাছ থেকে টাকা চাওয়া হলে কিংবা কোনো প্রতারণা বা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেলে দুদকের টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ নম্বরে জানানোর অথবা নিকটস্থ দুদক কার্যালয় বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ