খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ডলু মৌজার এলাকায় অবৈধ দখলে থাকা প্রায় ১৬৫ একর জমি উদ্ধার করে সেখানে গড়ে তোলা হয় ‘মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার অ্যান্ড ইকো-ট্যুরিজম পার্ক’। 

২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করেন তৎকালীন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। ওই সময় পার্কের বিভিন্ন স্থানে ১০০ প্রজাতির প্রায় ২৫ হাজার চারাগাছ রোপণ করা হয়। এছাড়া ৫০ প্রজাতির বিলুপ্তি প্রায় গাছের চারা ও ঔষধি চারা আলাদাভাবে রোপণ করা হয়।

বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মানিকছড়ির সেই ডিসি অ্যাডভেঞ্চার পার্কটি দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে জাতীয় পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। গত ৩ জুন রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে যুগ্ম সচিব ডা.

মো. সাইফুর রহমানেরি সই করা প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়। বুধবার মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া প্রধান উপদেষ্টার হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করবেন।

তাহমিনা আফরোজ বলেন, জাতীয় পর্যায়ে এই পুরস্কার পাওয়া গর্বের বিষয়। তিনি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে অবদান রাখা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও উপজেলাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

তিনি আরও বলেন, এই অর্জনের মাধ্যমে পার্কের পরিচিতি দেশব্যাপী আরও বাড়বে এবং ভবিষ্যতে এখানে পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পাবে। এ লক্ষ্যে পার্কটিকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ প রস ক র ম ন কছড়

এছাড়াও পড়ুন:

লাশ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

রংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে নিহত রুপলাল দাসের লাশ নিয়ে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর প্রশাসনের আশ্বাসে তাঁরা সড়ক ছেড়ে দেন।

গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় রুপলাল দাসসহ (৪০) দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রুপলালের বাড়ি উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর এলাকায়। নিহত অন্যজন হলেন মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামের প্রদীপ লাল (৩৫)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের বেলতলী এলাকায় রুপলালের লাশ রেখে এলাকাবাসী অবরোধ শুরু করেন। এতে সড়কের দুই দিকেই শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে সরে যান।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত রুপলালের স্ত্রী ভারতী রানী দুপুরে তারাগঞ্জ থানায় ৫০০ থেকে ৭০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত শনিবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে মিঠাপুকুরের ছরান বালুয়া এলাকা থেকে ভাতিজি জামাই প্রদীপ লালকে নিয়ে ভ্যানে করে বাড়ি ফেরার পথে সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা মোড়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাঁদের পথরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরই একপর্যায়ে প্রদীপ লালের কালো ব্যাগ তল্লাশি করে বোতলে দুর্গন্ধযুক্ত পানীয় ও কিছু ওষুধ পান। বোতলের ঢাকনা খোলার পর দুর্গন্ধে বুড়িরহাট এলাকার কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে লোকজন উত্তেজিত হয়ে রুপলাল ও প্রদীপ লালকে বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয়ে মাঠে নিয়ে লাঠিসোঁটা ও লোহার রড দিয়ে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তাঁদের কান দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। তাঁদের তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক রুপলালকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রদীপ লালকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে প্রদীপ লাল ভোর ৪টায় মারা যান।

তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ ফারুক বলেন, ‘রুপলালের লাশ নিয়ে স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। আমরা তাঁদের আশ্বাস করেছি। তাঁরা লাশ নিয়ে ফিরে গেছেন।’

আরও পড়ুনস্বজন রাস্তা না চেনায় গেলেন এগিয়ে আনতে, পথে দুজনকেই পিটিয়ে হত্যা১২ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনদুজনকে পিটিয়ে হত্যা : ‘এ্যালা মুই কেমন করি বাঁচিম, কার কাছোত বিচার চাইম’১০ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ