ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। গত বছরের ঈদে রাশিদ পলাশ পরিচালিত ‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমায় তাকে সর্বশেষ বড় পর্দায় দেখা যায়। এরপর কেটে গেছে বহুদিন, তার নতুন কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি।
তবে পর্দার আড়ালে থাকলেও আলোচনার বাইরে নেই ববি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব এই নায়িকা। ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুকে প্রতিনিয়তই শেয়ার করছেন নিজের নতুন সব ছবি।
ববি
আরো পড়ুন:
নোংরা মন্তব্য, মিষ্টির আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি
সৌরভের বায়োপিক: রাজকুমার বললেন, নার্ভাস লাগছে
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে রয়েছেন ববি। পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে সেখানে গিয়েছেন তিনি। আর সেখান থেকেই সাদা পোশাকে সমুদ্রতটে দাঁড়িয়ে তোলা কিছু মনোমুগ্ধকর ছবি পোস্ট করেছেন নিজের প্রোফাইলে। খোলা আকাশ আর নীল জলরাশি—তার মাঝে স্বচ্ছ সাদা পোশাকে ববি যেন এক শান্ত নির্জনতার প্রতীক। ছবির ভঙ্গিমা এবং পোশাকের সূক্ষ্ম নকশা যেন নতুনভাবে হাজির করেছে এই অভিনেত্রীকে।
পোস্টের ক্যাপশনে ববি লিখেন, “যে চিন্তাগুলো আপনাকে সুখী করে, সেই চিন্তাগুলো আপনাকে সুস্থ করে তোলে।” এদিকে, ভ্রমণ, বিশ্রাম, এবং নিজেকে নতুনভাবে খুঁজে পাওয়ার গল্প বলছে ছবিগুলো।
জানা যায়, দেশে ফেরার আগে ববি যুক্ত হয়েছেন বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমার সঙ্গে। এর মধ্যে রয়েছে ‘দিওয়ানা’ ও ‘তছনছ’। পাশাপাশি অনিক বিশ্বাস পরিচালিত ‘শিরোনাম’ এবং কে এ নিলয়ের ‘বউ’ নামে দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায়। যদিও এই সিনেমাগুলো এবারের ঈদে মুক্তির কথা ছিল, তবে নানা কারণে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে।
গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ববি জানান, এখন তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি বেছে কাজ করছেন। সময়ের চাহিদা বুঝে, চরিত্রের গভীরতা বিচার করেই কাজ বেছে নিচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
ব্যক্তিগত পরিসরে নিজেকে সমৃদ্ধ করেই চলচ্চিত্রে ফিরবেন ববি। অস্ট্রেলিয়ার নীল আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে তোলা এই ছবিগুলো যেন সেই প্রত্যাবর্তনেরই নীরব ইঙ্গিত।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু হাফসা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আরেক আসামি গ্রেপ্তার
পাবনা পৌর সদরের উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া এলাকায় ৯ বছরের শিশু শিক্ষার্থী হাফসা হত্যার ঘটনায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) দায়ের করা মামলায় আরো এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মামলার নামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার হলো।
গ্রেপ্তাররা হলেন, পাবনা পৌর সদরের উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া মহল্লার টিপু সরদারের ছেলে সাব্বির সরদার (২৬), ছবেদ আলীর ছেলে রমজান আলী (৩০) ও খালেক সরদারের ছেলে পান্না সরদার (২৮)। এদের মধ্যে সাব্বির ও রমজানকে রবিবার এবং পান্নাকে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন:
‘আবর্জনার মতো লাগে’ বলে অর্ধশত বকুলগাছ কাটা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার
বরগুনায় নাশকতার অভিযোগে ৩ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
এদিকে, শিশু হাফসাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্য করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহত হাফসার মা রিতু খাতুন বাদী হয়ে সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনজন নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে পাবনা টেক্সটাইল কলেজ এলাকা থেকে অভিযুক্ত পান্না সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মামলার প্রধান অভিযুক্ত নামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, শিশু হাফসা হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে জেলা প্রশাসক কর্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা। সেখানে নিহত শিশু শিক্ষার্থী হাফসার স্বজন ও এলাকাবাসী বক্তব্য দেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে তারা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। অন্যত্থায় আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন।
এ সময় প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে শিশু হাফসাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে প্রায় ২ ঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে বাড়ির পেছনের জঙ্গলের ভেতর পাটিতে মোড়ানো কাদা মাখা অবস্থায় হাফসার মরদেহ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতেই সন্দেহভাজন হিসেবে রমজান ও সাব্বির নামের দুইজনকে আটক করা হয়।
নিহত হাফসা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের প্রবাসী হাফিজুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
হাফসার নানার বাড়ির পাশের বাগানটি দীর্ঘদিন ধরে বখাটে, মাদকসেবী ও জুয়ারুদের আড্ডাস্থল ছিল বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাবনা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, “মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে শিশু হাফসাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এছাড়া পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয়েছে।”
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী