সীতাকুণ্ডে অবৈধ জাহাজভাঙা ইয়ার্ড উচ্ছেদ, গাজীপুরে বনভূমি উদ্ধার
Published: 25th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বনভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ জাহাজভাঙা ইয়ার্ড উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। একইদিন গাজীপুরের বাউপাড়া বিট এলাকায় প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের বনভূমি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে একযোগে পরিচালিত এ অভিযানকে পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আজ বুধবার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের তুলাতলী মৌজায় অনুমোদন ও ইজারা ছাড়াই প্রায় ৭ দশমিক ১০ একর গেজেটভুক্ত বনভূমিতে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল ‘কোহিনূর স্টিল’ নামের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। বুধবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে প্রতিষ্ঠানটির অফিস, দুটি ভবন, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, খুঁটি ও কাঁটাতারের ঘেরা পুরো স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, দখল ছাড়ার একাধিক নোটিশ উপেক্ষা করায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.
উল্লেখ্য, তুলাতুলী মৌজার বিএস খতিয়ান ০১ ও দাগ নম্বর ৪৯৪ অনুযায়ী জমিটি বনভূমি হিসেবে চিহ্নিত এবং সেখানে শিল্প স্থাপনের অনুমতি নেই। অতীতে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান এই জমির ইজারা পায়নি। এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশনায় রাজা কাশেম ও তার স্ত্রীর বরাদ্দ আবেদনও বাতিল করে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন জানায়, সীতাকুণ্ডে অনুমোদিত সাতটি শিল্পমৌজা থাকলেও তুলাতুলী অঞ্চল সেগুলোর মধ্যে পড়ে না। এটি সম্পূর্ণরূপে বনভূমি, যার দখলমুক্ত করাই ছিল অভিযানের উদ্দেশ্য। উচ্ছেদ শেষে জমিটি সরকারের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে পুনর্দখল ঠেকাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন বাউপাড়া বিট এলাকায় প্রায় ১০ শতাংশ বনভূমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল নিটল মটরস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি রাতের আঁধারে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ শুরু করলে তা ঠেকানোর চেষ্টা করে বন বিভাগ। পরে নির্মাণসামগ্রী জব্দ করে একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং দখলমুক্ত অভিযান পরিচালনা করে বন বিভাগ। উদ্ধার হওয়া জমিতে ইতোমধ্যে নতুন করে বনায়নের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ পর ব শ পর চ ল বনভ ম
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো ১ মাস বাড়ল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো এক মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
কমিশনের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে।
১৫ অগাস্ট ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। তার আগেই আরো এক মাস সময় বাড়ানো হলো।
কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
কমিশন গত শুক্রবার জানিয়েছে, সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ এবং জুলাই সনদ মানার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে তৃতীয় দফায় বসবে ঐকমত্য কমিশন।
ঢাকা/এএএম/ইভা