ব্যাংকিং, শিক্ষাব্যবস্থা এবং উচ্চ জীবনযাত্রার মানের জন্য বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে সুইজারল্যান্ড অন্যতম। মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে সুইস সরকার বরাবরই শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে আসছে। সরকারি তহবিলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও দিয়ে থাকে উচ্চশিক্ষায় নানা স্কলারশিপ। প্রতি বছরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে স্কলারশিপগুলোর ধরন হয় বিভিন্ন রকম। জেনে নেওয়া যাক সুইস স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়গুলো।

জাপানের স্টাডি সাপোর্ট স্কলারশিপ, ইংরেজি ও জাপানিজ দুই ভাষার দক্ষতা প্রয়োজনসুইজারল্যান্ডে যত স্কলারশিপ

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সুইজারল্যান্ডের সরকারি স্কলারশিপ হচ্ছে গভর্নমেন্ট এক্সিলেন্স স্কলারশিপ। প্রতিবছর যেকোনো বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের বাইরের স্নাতকোত্তর গবেষকদের এই স্কলারশিপটি দেওয়া হয়। এর মধ্যে মাসিক জীবনযাত্রা, পড়াশোনার সম্পূর্ণ খরচ, স্বাস্থ্য বীমা, ভ্রমণ খরচ/বিমান ভাড়া এবং আবাসন খরচ অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডক্টরেট বা পোস্ট-ডক্টরাল স্তরে গবেষণার জন্য সুইজারল্যান্ডগামী হয় হাজারো শিক্ষার্থী।

সুইজারল্যান্ড স্কলারশিপের জন্য তিনটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী যাচাই করে। প্রার্থীর প্রোফাইল, গবেষণা প্রকল্প বা শৈল্পিক কাজের গুণমান এবং গবেষণাটির ভবিষ্যতের সম্ভাবনা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্কলারশিপের মধ্যে ইটিএইচ জুরিখ এক্সিলেন্স মাস্টার্স স্কলারশিপ, মাস্টার্স ডিগ্রীধারীদের জন্য ইপিএফএল এক্সিলেন্স ফেলোশিপ, গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট জেনেভা স্কলারশিপ, পিএইচডির জন্য জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং মানবাধিকার জেনেভা একাডেমি স্কলারশিপ অন্যতম।

এসব বৃত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বছরে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক পর্যন্ত অনুদান দিয়ে থাকে। এর মধ্যে পড়াশোনার খরচ ছাড়াও আবাসনসহ জীবনযাত্রার অন্য খরচও মিটে যায়।

আরও পড়ুনআয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা, যেভাবে মিলবে সুযোগ১২ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনজার্মানিতে পড়তে যেতে চান, নজরে রাখুন এই ৮ বিষয়২০ নভেম্বর ২০২৪প্রথম আলো ফাইল ছবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরে এনসিপির জেলা ও সদর উপজেলা কমিটি স্থগিত

মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা ও সদর উপজেলায় গঠিত সমন্বয় কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ জুন) রাত ২টার দিকে এনসিপির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।

মাদারীপুর জেলা ও সদর উপজেলা এনসিপির সমন্বয় কমিটি স্থগিতের ঠিক আধা ঘণ্টা আগে জেলা এনসিপির ৫ নম্বর সদস্য আব্দুল্লাহ আদিল ওরফে টুটুল ও ৬ নম্বর সদস্য রাতুল হাওলাদারকে গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সদস্য পদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। বহিষ্কারের একটি বিজ্ঞপ্তিও এনসিপির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জানায় দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।

দুটি আলাদা বিজ্ঞপ্তির সূত্র জানায়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের ভঙ্গের অভিযোগ তুলে এনসিপির মাদারীপুর জেলা সমন্বয় কমিটি ও মাদারীপুর জেলার অধীনে থাকা সদর উপজেলা সমন্বয় কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করার অনুমোদন করেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ। পরে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নির্দেশনা অনুসারে মাদারীপুরে এনসিপির দুটি কমিটি স্থগিতের ঘোষণা করেন। এর আগে এনসিপির মাদারীপুর জেলা সমন্বয় কমিটির ওই দুই সদস্যকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

সদ্য স্থগিত হওয়া মাদারীপুর জেলা এনসিপির সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহ বলেন, ‘‘অপরাধী যেই হোক তার শাস্তি হতে হবে। আর যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই ঝামেলার বন্দোবস্ত করেছেন, তাদের সকলের সামনে আনতে হবে।’’

মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। 

সম্প্রতি এনসিপির ৩১ সদস্যের জেলা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তা প্রত্যাখ্যান করেন জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ, আহ্বায়ক নেয়ামত উল্লাহসহ অনেকেই। জেলা কমিটি হওয়ার তিন দিন পরই জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে সদর উপজেলায় ২৬ সদস্যের এনসিপি আরো একটি কমিটি গঠন করে।

বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
 

ঢাকা/বেলাল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ