Samakal:
2025-08-14@10:11:56 GMT

বিজয়কে এ কারণেই নেওয়া হতো না

Published: 26th, June 2025 GMT

বিজয়কে এ কারণেই নেওয়া হতো না

এনামুল হক বিজয়ের অভিযোগ, লিগে বছরের পর বছর ভালো খেললেও তাঁকে নিয়মিত জাতীয় দলে দেওয়া হয় না। উপেক্ষার শিকার এই ‘দুঃখী’ ক্রিকেটারের প্রতি হঠাৎই সদয় হয়ে ওঠে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নির্বাচক প্যানেল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে দলে নেওয়া হয় বিজয়কে। ক্যারিয়ার-সেরা ৩৯ রানের ইনিংসও খেলেন তিনি।

ওই ইনিংস দিয়েই জাতীয় দলে টিকে গেছেন বিজয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান টেস্ট স্কোয়াডে নেওয়া হয় তাঁকে। মাত্র দু’জন ওপেনার দিয়ে সাজানো হয় ১৬ জনের স্কোয়াড। বিকল্প ওপেনার না থাকায় ব্যর্থ বিজয়কে সুযোগ দিতে বাধ্য হয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ফলে গলের মতো কলম্বো টেস্টেও ১০ বল খেলে জীবন পেয়ে শূন্যতে আউট হন তিনি।

এই পারফরম্যান্সের পর বিজয়ের টেস্ট ব্যাটিং সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করার সক্ষমতা নেই বিজয়ের। তাই লিগে হাজার রান করলেও ৩২ বছর বয়সী এ ব্যাটারকে জাতীয় দলে নিতে রাজি হতেন না তারা।

আট টেস্টে একটিও ভালো ইনিংস নেই। গড় ১০.

২১। অথচ গত মৌসুমেও জাতীয় লিগে (এনসিএল) ৭০০ রান করেছেন বিজয়। ঢাকা লিগেরও নিয়মিত পারফর্মার তিনি। বছরের পর বছর এভাবে ভালো করার পরও জাতীয় দলে উপেক্ষিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন সাবেক প্রধান নির্বাচক নান্নু, ‘এনামুল হক বিজয়কে আমাদের নির্বাচক প্যানেল নেয়নি, কারণ সে টেস্টে ভালো করে না। তার ব্যাটিংয়ে সমস্যা আছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো উইকেটেও রান করতে পারেনি, দুই ইনিংসে ১০ বল খেলে শূন্য রানে আউট। তাকে দলে নেওয়ার আগে নির্বাচক প্যানেল ও টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবতে হতো। তাদের বুঝতে হবে কোন খেলোয়াড় আন্তর্জাতিকে ভালো করবে। সেভাবে দল নির্বাচন করতে হতো।’ 

প্রশ্ন উঠেছে, ১৬ জনের স্কোয়াডে বিকল্প ওপেনার না রাখায়। সমর্থকরা বলাবলি করছেন, বিজয়কে ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতেই তৃতীয় ওপেনার নেওয়া হয়নি। সমর্থকদের এই অনুমান প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে নান্নু বলেন, ‘নির্বাচক প্যানেল এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবে।’

বিসিবির আগের সাবেক নির্বাচক ও অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের মতো টেস্ট দলে বিজয়কে নেওয়ার প্রক্রিয়াটাই ছিল ভুল। তিনি বলেন, ‘বিজয়কে নেওয়াই ভুল ছিল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে তিনজন ওপেনার ছিল, দ্বিতীয় টেস্টে রিজার্ভে থাকা ব্যাটারকে না খেলিয়ে বিজয়কে বাইরে থেকে নিয়ে ম্যাচ খেলানো হয়। এবার শ্রীলঙ্কা সফরে দুই টেস্টের সিরিজে দুইজন ওপেনার নিয়ে গেছে। টেস্ট ম্যাচে মেকশিফট ব্যাটার খেলাতে পারবেন না। ওয়ানডে হলে মিরাজকে দিয়ে ওপেন করতে পারে। আল্লাহ না করুক, টেস্ট ওপেনে কেউ ইনজুরড হলে মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের খেলাতে হতো। মাহিদুল ইসলাম অংকন বা নাজমুল হোসেন শান্ত তো ওপেনার না। প্রথমে ভুল করায় বিজয়কে দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে নেওয়ার আগে চিন্তা করা উচিত।’

নান্নু-বাশার দু’জনেই মনে করেন, তুষার ইমরানের মতো বিজয়ও ঘরোয়া লিগের ক্রিকেটার। তাঁর মতে, ‘তুষার ইমরানও অনেক রান করত। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছিল না। তারা ঘরোয়া ক্রিকেটটা বোঝে, আন্তর্জাতিকে পারে না। কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক কঠিন। তাই বলে লিগের দোষ না। কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেই তো সাকিব, তামিম, মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকরা জাতীয় দলে গেছে। লিটন, মুস্তাফিজ, তাসকিনদের উত্থানও ঘরোয়া ক্রিকেট। সমস্যা মূলত বিজয়ের।’ তারা মনে করেন, জাতীয় দলে নেওয়ার আগে খেলোয়াড়ের সক্ষমতা বোঝা জরুরি। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ত য় দল র ন কর ব জয় র ব জয়ক ন করত

এছাড়াও পড়ুন:

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে এবার যমুনা সেতুর মুখে মহাসড়ক অবরোধ, চরম ভোগান্তি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে এবার যমুনা সেতুর মুখে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তাঁরা যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় ঢাকা ও উত্তরবঙ্গমুখী মহাসড়কের উভয় লেন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ২১টি জেলার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পরিবহনচালকেরা। এক ঘণ্টা পর বেলা একটার দিকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে ছয় ঘণ্টা উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের সামনে রেলগেট এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেন তাঁরা। এতে ঢাকা ও খুলনার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। গতকাল বেলা তিনটার দিকে আজকের যমুনা সেতুর পশ্চিমে মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়ে তাঁরা অবরোধ তুলে নিয়েছিলেন।

গত ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বর্জনের মধ্য দিয়ে ডিপিপি অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে কয়েক দিন ধরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ করে পথনাটক, শেকল ভাঙার গান ও প্রতীকী ক্লাসের আয়োজন করা হয়। এরপরও সাড়া না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার হাটিকুমরুল গোলচত্বরে মানববন্ধন ও রোববার মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। গতকাল রেলপথ অবরোধের পর আজ যমুনা সেতুর পশ্চিমে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।

আজ দুপুরে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকা অবরোধ করে দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে এক শিক্ষার্থীকে কাফনের কাপড় পরে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আজ দুপুরে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় এক শিক্ষার্থীকে কাফনের কাপড় পরে স্লোগান দিতে দেখা যায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ