বার্সা-স্টেগান দ্বন্দ্বের সমাধান চেলসি!
Published: 26th, June 2025 GMT
এস্পানিওল থেকে হুয়ান গার্সিয়াকে ২৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে দলে ভিড়িয়েছে বার্সেলোনা। ২৪ বছর বয়সী এই স্প্যানিশকে প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক হিসেবে দেখছেন বার্সা কোচ হানসি ফ্লিক। বেতন কম হওয়ায় ভয়চেক সেজনিকে ব্যাকআপ গোলরক্ষককে হিসেবে দলে রাখার কথা ভাবছেন বার্সা বোর্ড।
এক দশক বার্সাকে সার্ভিস দেওয়া ৩৩ বছর বয়সী জার্মান গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগান পড়ে গেছেন বাতিলের খাতায়। তাকে ছেড়ে দিতে চায় কাতালানরা। কিন্তু অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক বার্সা ছাড়তে চান না। ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির ২০২৭ সাল পর্যন্ত থাকতে চান কাতালান ক্যাম্পে। একাদশে নিয়মিত জায়গার জন্য লড়াই করতে চান।
এতে করে কাতালান ক্লাবটি পড়ে গেছে বিপাকে। স্টেগানকে বিদায় করতে না পারলে বেতনের ভারসাম্যের কারণে হুয়ান গার্সিয়াকে নিবন্ধন করাতে বিপদে পড়বে ক্লাবটি। সেজনির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন নিয়েও সৃষ্টি হবে নতুন ঝামেলা। এমনকি চুক্তি সম্পন্ন হলেও গার্সিয়াকে এখনো নিবন্ধন করাতে পারেনি বার্সেলোনা।
অভিজ্ঞ টের স্টেগানের অবশ্য দলবদলের বাজারে চাহিদা আছে। তুর্কি ক্লাব গালাতাসারায়ে ভালো বেতনের প্রস্তাব দিয়ে তাকে দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। স্টেগান ওই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। তবে সমস্যার সমাধান হতে পারে চেলসির আগ্রহ। স্টেগানকে দলে নেওয়ার বিষয়ে খোঁজ খবর শুরু করেছে লন্ডনের ক্লাবটি।
সংবাদ মাধ্যম কট অফসাইড দাবি করেছে, এসি মিলানের মাইক মাইগন্যানকে না পেয়ে স্টেগানকে প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক হিসেবে তালিকায় রেখেছে চেলসি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও নাকি স্টেগানের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চেলসিই। ব্লুজরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়ায় স্টেগানের জন্যও ভালো অপশন হতে পারে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু হাফসা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আরেক আসামি গ্রেপ্তার
পাবনা পৌর সদরের উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া এলাকায় ৯ বছরের শিশু শিক্ষার্থী হাফসা হত্যার ঘটনায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) দায়ের করা মামলায় আরো এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মামলার নামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার হলো।
গ্রেপ্তাররা হলেন, পাবনা পৌর সদরের উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া মহল্লার টিপু সরদারের ছেলে সাব্বির সরদার (২৬), ছবেদ আলীর ছেলে রমজান আলী (৩০) ও খালেক সরদারের ছেলে পান্না সরদার (২৮)। এদের মধ্যে সাব্বির ও রমজানকে রবিবার এবং পান্নাকে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন:
‘আবর্জনার মতো লাগে’ বলে অর্ধশত বকুলগাছ কাটা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার
বরগুনায় নাশকতার অভিযোগে ৩ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
এদিকে, শিশু হাফসাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্য করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহত হাফসার মা রিতু খাতুন বাদী হয়ে সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনজন নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে পাবনা টেক্সটাইল কলেজ এলাকা থেকে অভিযুক্ত পান্না সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মামলার প্রধান অভিযুক্ত নামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, শিশু হাফসা হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে জেলা প্রশাসক কর্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা। সেখানে নিহত শিশু শিক্ষার্থী হাফসার স্বজন ও এলাকাবাসী বক্তব্য দেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে তারা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। অন্যত্থায় আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন।
এ সময় প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে শিশু হাফসাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে প্রায় ২ ঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে বাড়ির পেছনের জঙ্গলের ভেতর পাটিতে মোড়ানো কাদা মাখা অবস্থায় হাফসার মরদেহ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতেই সন্দেহভাজন হিসেবে রমজান ও সাব্বির নামের দুইজনকে আটক করা হয়।
নিহত হাফসা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের প্রবাসী হাফিজুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
হাফসার নানার বাড়ির পাশের বাগানটি দীর্ঘদিন ধরে বখাটে, মাদকসেবী ও জুয়ারুদের আড্ডাস্থল ছিল বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাবনা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, “মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে শিশু হাফসাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এছাড়া পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয়েছে।”
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী