গল্প, আড্ডা, স্মৃতিচারণায় ২৫ বছর আগে ফিরে যাওয়া
Published: 26th, June 2025 GMT
আমিনুল ইসলামের ঠোঁটে হাসি প্রায় পুরোটা সময়ই লেগে ছিল। একজন করে মঞ্চে আসেন, ব্লেজার পরে ফুল নেন, এরপর সাদা জার্সিতে অটোগ্রাফ দিয়ে দাঁড়ান তাঁর পাশে—তাঁদের ফেরার পথে আমিনুল মজার গল্পে হাসান উপস্থিত সবাইকে, কখনো জানান কৃতজ্ঞতাও। স্মৃতিচারণা, গল্প আর আড্ডায় বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট খেলা ক্রিকেটাররা যেন ফিরে গিয়েছিলেন ২৫ বছরের পুরোনো দিনগুলোতে।
কখনো তাঁদের কথায় চলে আসে বিকেএসপিতে ক্যাম্প করার দিনগুলোর স্মৃতি, কারও কণ্ঠে থাকে দলে ডাক পাওয়ার খবর শোনার সেই সুখের অনুভূতি। সেদিনের প্রধান কোচ সরোয়ার ইমরান মঞ্চে যাওয়ার পথে দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানান মেহরাব হোসেন। একটু আগেই কোচের টি–শার্ট চুরির গল্পটা বলে যিনি নিজেও ফেটে পড়েছিলেন অট্টহাসিতে।
এমন অনেক টুকরো টুকরো ছবিতে আজ বিকেলে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ২৫ বছর পূর্তি উদ্যাপনের আয়োজন রঙিন হয়ে ওঠে শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের মিডিয়া প্লাজার সামনের মঞ্চে।
দেশজুড়ে নানা আয়োজনে তা পালিত হয়ে আসছিল সপ্তাহখানেক ধরেই। আজ তা পূর্ণতা পেয়েছে অভিষেক টেস্টের ক্রিকেটারদের পুনর্মিলনীতে। ব্যক্তিগত কারণে যদিও সেখানে থাকতে পারেননি বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের অধিনায়ক নাঈমুর রহমানসহ আকরাম খান, মনজুরুল ইসলাম, আল শাহরিয়ার ও খালেদ মাসুদ।
যাঁরা ছিলেন, লালগালিচার পথ ধরে মঞ্চে হাজির হন তাঁরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যেই আমিনুল মনে করিয়ে দেন, কেন তাঁরা সবার চেয়ে আলাদা হয়ে থাকবেন সব সময়, ‘আপনারা ইতিহাস, আপনারা সারা জীবন ইতিহাস থাকবেন।’ কেন ইতিহাস হয়ে থাকা, পরে তা আলাদা করে ব্যাখাও করেছেন আমিনুল। যেটা না করলেও চলত।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রায় সব রেকর্ডই হয়তো একদিন ভেঙে যাবে অথবা নতুন করে লেখা হবে। কিন্তু বাংলাদেশে কেউ চাইলেও তো আর টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বল খেলা শাহরিয়ার হোসেনকে পেছনে ফেলতে পারবেন না অথবা হাসিবুল হোসেন শান্তর প্রথম বল করার সেই অনুভূতি হবে না আর কারও। ২৫ বছর পরও যে গর্ব থাকল হাসিবুলের কণ্ঠে, ‘বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে প্রথম বলটা আমিই করেছি!’
প্রথম হওয়ার এই অনুভূতি ছুঁয়ে যায় আমিনুলকেও। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই, ‘প্রথমের’ এই অনুভূতি স্পষ্ট তাঁর এ কথাটায়, ‘সবকিছুর প্রথম ছিলাম আমরা। প্রথম অনুভূতি, প্রথম হারা, প্রথম জেতা, প্রথম কষ্টগুলো সহ্য করা। আমাদের হয়তো বোলিং–ব্যাটিং এভারেজ এত স্ট্রং (ভালো) নয়। কিন্তু আপনাদের (প্রথম টেস্ট খেলা ক্রিকেটার) অবদান বাংলাদেশের মানুষ সারা জীবন মনে রাখবে।’
অনুষ্ঠানের শেষে বড় এক কেক এল, তা কাটলেন প্রথম টেস্টে খেলা ক্রিকেটাররা। একত্র হয়ে ক্রিকেটাররা ছবিও তুললেন। কারও কারও হয়তো তখনো ওই ঘটনাটা মনে পড়েছে—বিশাল আয়োজনের ভিড়ে ম্যাচ শুরুর আগে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের যে কোনো গ্রুপ ছবিই তোলা হয়নি! ম্যাচের পর যা তোলা হয়েছিল, তাতে ক্রিকেটাররা ছিলেন ক্লান্ত, বিধ্বস্ত। এবারও ওই অপূর্ণতা ঘুচল না স্কোয়াডের সবাই না থাকায়।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের স্মরণীয় সব মুহূর্তের ছবিতে সাজানো মঞ্চ। শিশুদের আঁকা ছবি, আর ‘গুডলাক উইশ বোর্ডে’ লেখা শুভকামনাও দাঁড় করানো পাশাপাশি। সামনে পরিচিত সব মুখ। মাহমুদুল হাসানের (অভিষেক টেস্ট খেলার সময় যাঁর নাম ছিল বিকাশ রঞ্জন দাস) মতো কেউ এখন ক্রিকেট থেকে অনেক দূরে, আমিনুলের মতো কেউ বোর্ডের সভাপতি।
তাঁদের সবার একসঙ্গে হওয়ার এই অনুভূতি যেন বারবার হয়, সেই আবদার জানালেন প্রথম টেস্টের একাদশে সুযোগ না পাওয়া জাবেদ ওমর। তাঁদেরকে একসঙ্গে আনার একটা উদ্যোগ অবশ্য বিসিবি নিয়েছে। ক্রিকেটে অনার্স বোর্ড বলতে ৫ উইকেট পাওয়া বা সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটারদের তালিকায় নাম থাকাকেই বোঝানো হয়েছে এত দিন।
আজ শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমের প্রবেশমুখে লাগানো হয়েছে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটারদের একটা ‘অনার্স বোর্ড’, যেখানে বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলা সবার নামই আছে।
প্রথম টেস্ট খেলা খেলোয়াড়দের মিলনমেলার এই দিনে আমিনুল ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আরও একবার। একই আশা দেখিয়েছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াও। ২৫ বছর আগে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের যাত্রা শুরুর দিনও যেসব ছিল প্রাসঙ্গিক।
অনুষ্ঠানের একদম শেষে আমিনুল শুনিয়েছেন একটা স্বপ্নের কথাও, ‘আমরা পঞ্চাশ বছর পূর্তির যে আয়োজনটা করব, সেটা হয়তো এত ছোট পরিসরে করব না। বেঁচে থাকব কি না, জানি না। তবে আমাদের হয়তো একটা স্টেডিয়াম ভাড়া করতে হবে। তখন আমরা হয়তো ১০০ টেস্ট জয় দেখতে পারব। আমরা অনেক স্বপ্ন দেখছি।’
তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয় কি না, তা জানা যাবে আরও ২৫ বছর পর। তবে আপাতত আজ আমিনুল সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ২৫ বছর আগের ২৬ জুনের স্মৃতিতে—যে দিনটিতে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পেয়েছিল!
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল দ শ র প রথম প রথম ট স ট অন ষ ঠ ন র ই অন ভ ত ২৫ বছর আম ন ল বছর প
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও বার্তায় দৃঢ় অবস্থান ইরানের সর্বোচ্চ নেতার
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায়—এমন প্রশ্ন কয়েক দিন ধরেই উঠছিল। ইরান–ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিন ধরে চলা সংঘাতের সময় মাত্র দুবার বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। তবে জনসমক্ষে আসেননি। তাঁর মৃত্যু নিয়েও শুরু হয়েছিল গুঞ্জন। এরই মধ্যে খামেনির একটি ভিডিও বার্তা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে। তাতে তাঁকে ইরানের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
খামেনির ভিডিও বার্তা সম্প্রচার করা হয়েছে ২৩ জুন ইরান–ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি শুরুর দুই দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার। বার্তায় ইসরায়েলের পাশাপাশি দেশটির মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছেন খামেনি। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। এর মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটনের গালে ‘ সজোরে চপেটাঘাত’ করেছে তেহরান।
১৩ জুন ইরান–ইসরায়েল সংঘাত শুরু হয়। প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্র শুধু ইসরায়েলকে সহযোগিতা করে যাচ্ছিল। পরে ২১ জুন ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়ে সরাসরি সংঘাতে যুক্ত হয় ওয়াশিংটন। ওই হামলার এক দিন পর কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম ভিডিও বার্তায় খামেনি বলেন, এই ‘যুদ্ধে’ যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করেছিল, কারণ দেশটি বুঝতে পেরেছিল, তাদের হস্তক্ষেপ ছাড়া ‘জায়নবাদী’ ইসরায়েল ধ্বংস হয়ে যাবে। ইসরায়েল ‘প্রায় ধসে পড়েছে।’ ইরানের হামলায় তারা ‘চূর্ণবিচূর্ণ’ হয়ে গেছে। ইরানের ওপর হামলার জন্য শত্রুদের চড়া মূল্য দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ৮৬ বছর বয়সী এই নেতা।
ইরান কখনো ‘আত্মসমর্পণ’ করবে না বলেও উল্লেখ করেন খামেনি। যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান—তিনটি পরমাণু স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তারও একটি জবাব দেন তিনি। বলেন, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ছিল নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের জন্য। তাদের বোমা ইরানের পরমাণু স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। তবে খুব বেশি কিছু অর্জন করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
এখনো খামেনিকে হত্যার শঙ্কাভিডিওতে খামেনির পেছনে ছিল বাদামি পর্দা। এক পাশে ইরানের পতাকা। আরেক পাশে তাঁর পূর্বসূরি আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনির ছবি। কোথায় ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। এর পরও খামেনির এই ভিডিও বার্তা ইরানিদের জন্য একটি স্বস্তির বিষয়। কারণ, তাঁর সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা না গেলেও অন্তত এটুকু জানা গেছে—তিনি বেঁচে আছেন।
খামেনির অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিলেন ইরানের সরকারি কর্মকর্তারাও। যেমন খামেনির মহাফেজখানার দপ্তরের কর্মকর্তা মেহদি ফাজায়েলি। এক টেলিভিশন উপস্থাপক তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘সর্বোচ্চ নেতাকে নিয়ে মানুষ খুবই উদ্বিগ্ন। তিনি কেমন আছেন, আমাদের বলতে পারবেন?’ এর সরাসরি কোনো জবাব দিতে পারেননি ফাজায়েলি। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার দোয়া করা উচিত।’
ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খামেনি একটি বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন। ইলেকট্রনিক যোগাযোগব্যবস্থা থেকে বিরত রাখা হয়েছে তাঁকে। তিনি হত্যার শিকার হতে পারেন—এমন আশঙ্কা থেকে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইরানের পত্রিকা খানেমান–এর সম্পাদক মোহসেন খালিফেহ বলেন, এই অনুপস্থিতির কারণে আর সবার মতো খামেনির মৃত্যু নিয়ে ভয় পেয়েছিলেন তিনিও।
খামেনি ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সব রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে থাকেন। তিনি আড়ালে থাকার সময় মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা ও যুদ্ধবিরতির মতো গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তেহরানকে। এ সিদ্ধান্তগুলো কে নিয়েছিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ইরানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হামজেদ সাফাভি বলেন, দূর থেকেই প্রধান প্রধান সিদ্ধান্ত খামেনি এখনো নিচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি।
সাফাভি বলেন, যুদ্ধবিরতি চলাকালেও ইসরায়েল খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে বলে মনে করেন ইরানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। এ জন্য সর্বোচ্চ নেতাকে ঘিরে চরম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা। বাইরের জগতের সঙ্গে খামেনির যোগাযোগ কমানো হয়েছে। এমন সংকটের মধ্যে দেশ চালানোর জন্য প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানসহ অন্য নেতাদেরও ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
ভিন্নমতাবলম্বীদের সমালোচনাএরই মধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে ভিন্নমতাদর্শের গোষ্ঠীগুলো। ইরানের কট্টরপন্থী রাজনীতিক সাঈদ জলিলির নেতৃত্বে একটি গোষ্ঠী প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির সমালোচনা করেছে। যুদ্ধবিরতি ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর যে ইঙ্গিত সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে, তারও নিন্দা জানিয়েছেন তাঁরা।
এই গোষ্ঠীতে রয়েছেন কট্টরপন্থীরা, যাঁদের মধ্যে ইরানের পার্লামেন্ট সদস্য ও ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রয়েছেন। আইআরজিসির ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফুয়াদ ইজাদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, পেজেশকিয়ানের আলোচনার বার্তা এখন মনে করিয়ে দিচ্ছে—ইরানের প্রেসিডেন্টের দেশ পরিচালনার প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক দক্ষতা নেই।
বিরোধী এই গোষ্ঠীর পাল্টা জবাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্টের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা আলী আহমাদনিয়া। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমরা ১২ দিন ধরে দিনরাত ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করছি। এখন কি আপনাদের সঙ্গেও লড়তে হবে, যাঁরা কলম দিয়ে শত্রুর খেলায় ঘুঁটি সাজাচ্ছেন।’
জনসমক্ষে খামেনির না থাকা ইরানের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাজ্যের নীতি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাবিষয়ক পরিচালক সানাম ভাকিল। তিনি বলেন, এ সময়টাতে দেশটির নেতাদের ‘চূড়ান্ত সতর্ক’ ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যাচ্ছে।’ নেতাদের এই সতর্কতা, ইরানিদের শঙ্কা, বিরোধীদের সমালোচনার মধ্যেই শেষ পর্যন্ত ভিডিও বার্তা দিয়ে খামেনি বললেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংঘাতে ইরান ‘জয়ী’ হয়েছে।