কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৬
Published: 27th, June 2025 GMT
কেনিয়াজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে বুধবার ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই হত্যা করেছে পুলিশ। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি কেনিয়ার প্রধান গতকাল এমনটি জানিয়েছেন।
কর বিল নিয়ে এক বছর আগে হওয়া প্রাণঘাতী বিক্ষোভ স্মরণে বুধবার কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। আগের ওই বিক্ষোভে পার্লামেন্টে হামলার ঘটনা ঘটেছিল এবং অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম ও রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকের ভাষ্য অনুযায়ী, রাজধানী নাইরোবিতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে।
অ্যামনেস্টি কেনিয়ার নির্বাহী পরিচালক ইরুংগু হটন জানান, কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় এবং ‘রাত ৮টা ৩০ পর্যন্ত’ ১৬ জনের ‘মৃত্যু যাচাই করা হয়েছে’। সূত্র রয়টার্স
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ত্রাণ সরবরাহ স্থগিত করেছে ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহ আবারও স্থগিত করেছে ইসরায়েল। এর ফলে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। বিতরণ করা ত্রাণসামগ্রী হামাস সদস্যদের হাতে চলে যাচ্ছে, এমন অভিযোগে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ত্রাণসামগ্রী যাতে হামাসের হাতে না যায়, সে জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি পরিকল্পনা করবে। সেটি না হওয়া পর্যন্ত গাজায় কোনো ত্রাণ ঢুকতে দেবে না ইসরায়েল।
এর আগেও দীর্ঘদিন ধরে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ রেখেছিল ইসরায়েল। চার সপ্তাহ ধরে সেখানে ত্রাণ বিতরণ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পরিচালিত বিতর্কিত সংস্থা গাজা ‘হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)। সংস্থাটির ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে ত্রাণ আনতে যাওয়ার পথে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৪৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা সরকারের গণমাধ্যম দপ্তর গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলোকে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বানিয়ে চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৬ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অনাহারে থাকা ৩৯ ফিলিস্তিনি।
মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী নেতা ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গভির গাজায় ত্রাণ বিতরণ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর আগে ইসরায়েলের সরকার দাবি করে, গাজায় সরবরাহ করা পণ্য ও খাদ্যের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হামাস।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গাজার প্রভাবশালী কিছু পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী একটি কমিটি গতকাল এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জানিয়েছে, এ ধরনের দাবি ভিত্তিহীন। এটি গাজায় প্রবেশ করা মানবিক সহায়তাকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অজুহাত মাত্র।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, গাজা এখন গণহত্যার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েলের সঙ্গে বিদ্যমান সহযোগিতা চুক্তি অবিলম্বে স্থগিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।