রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) দুই দিনব্যাপী চাকরি মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এই মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য এস এম আবদুর রাজ্জাক।

পূবালী ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় দুই দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করেছে রুয়েট ক্যারিয়ার ফোরাম। তাঁরা দশমবারের মতো এই মেলার আয়োজন করল। ২০১৪ সালে প্রথম এই চাকরির মেলার আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য ছাড়াও বক্তব্য দেন পূবালী ব্যাংকের রাজশাহীর আঞ্চলিক প্রধান সাজিদুর রহমান, রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক রবিউল ইসলাম সরকার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এইচ এম রাসেল, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক বিভাগের অধ্যাপক আবদুল খালেক প্রমুখ। অতিথিরা স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা চাই একাডেমিয়ার সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের একটা সেতুবন্ধ তৈরি হোক। সেটা করার জন্যই আজকের এই আয়োজন। যাঁরা পড়াশোনা শেষ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে চাকরিক্ষেত্রের একটা নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। এটাই শিক্ষার্থীদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর শিক্ষার্থীরাও তাঁদের সক্ষমতাকে যাচাই করতে পারবেন। এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজনকে আরও বিস্তৃত করা হবে।’

পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা সাজিদুর রহমান বলেন, আজকের এই আয়োজনে থাকতে পেরে তাঁরা আনন্দিত। এই ধরনের আয়োজন আরও করতে চান।

ক্যারিয়ার ফোরামের সভাপতি তাজওয়ার তাসকিন বলেন, এবার ১৯টি কোম্পানি স্টল নিয়ে মেলায় এসেছেন। তাঁরা সবাই চাকরি আহ্বান করছেন। দুই দিনে তাঁরা রুয়েট শিক্ষার্থীদের সিভি সংগ্রহ করবেন। অনেকেই এখানে থেকেই চাকরি দেবেন। অনেকে আবার তাঁদের হেড অফিসে আহ্বান করে চাকরি দেবেন। বিগত চাকরি মেলাগুলোতে সিভি ড্রপ করা শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশের বেশি চাকরি হয়েছে।

রুয়েটের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইফতেখার আলী আরএফএল কোম্পানিতে ট্রেইনি ইঞ্জিনিয়ারিং পদে সিভি জমা দিয়েছেন। এই পদে ২০টি পদ খালি আছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এটি তাঁর প্রথম সিভি দেওয়া। আশা করছেন চাকরিটি হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, সাধারণত চাকরিগুলো ঢাকাকেন্দ্রিক। চাকরি মেলাগুলোও সারা বছরই ঢাকাসহ বড় শহরে হয়। এখানে এই মেলা হওয়ায় তাঁদের জন্য ভালো হয়েছে। তাঁরা সহজেই আলাপচারিতার মাধ্যমে সিভি জমা দিতে পারছেন।

আরএফএলের সহকারী ব্যবস্থাপক (ট্যালেন্ট অ্যাকুইজিশন) তারেক আজিজ বলেন, তাঁরা মোটামুটি ৮০টি শূন্য পদে চাকরি দেবেন এই মেলা থেকে। বিগত বছরগুলোতেও রুয়েট থেকে অনেকেই চাকরি করছেন। এই মেলা দক্ষ জনশক্তি পেতে তাঁদের সহযোগিতা করছে। রুয়েটের অনেকেই তাঁদের কোম্পানিতে সুনামের সঙ্গে চাকরি করছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ই চ কর এই ম ল করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অনুদান দিল প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে অনুদান দিয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। কোম্পানিটি তাদের ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) থেকে এ অর্থ দিয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের হয়ে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল ও উপমহাব্যবস্থাপক (পিআর) তৌহিদুজ্জামান।

এ বিষয়ে কামরুজ্জামান কামাল বলেন, শিল্পের উন্নয়ন ও শ্রমিক কল্যাণ একে অপরের সঙ্গে জড়িত। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ সব সময় শ্রমিকদের উন্নয়নে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।

কামরুজ্জামান কামাল আরও বলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল দেশের শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অনুদান এই তহবিলকে আরও শক্তিশালী করছে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ১৯৮১ সালে যাত্রা শুরু করে। খাদ্য ও পানীয়, হাউসওয়্যার পণ্য, ইলেকট্রনিকস, হালকা প্রকৌশল, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে দেড় লাখের বেশি লোক কাজ করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অনুদান দিল প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ