পটুয়াখালীতে ডেঙ্গুতে নতুন শনাক্ত ৭, একজনের মৃত্যু
Published: 27th, June 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ইউসুফ খন্দকার (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি গতকাল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জুনায়েদ হোসেন লেলিন।
মৃত ইউসুফ খন্দকার কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জেলা সির্ভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা যায়, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তিসহ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে জেলায় ৭ জনের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৫৬৪ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৯৬ জন। বর্তমানের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৭ জন। জেলার ডেঙ্গুর হটস্পট মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন ২৭ জন ডেঙ্গু রোগী।
ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে আলাদা ওয়ার্ড খোলার নির্দেশনা থাকলেও স্থান, বেড ও লোকবল সংকটে তা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর কর্নার খোলা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
এছাড়া তিনি ডেঙ্গুর জ্বর, কাশি ও মাথাব্যথাসহ ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকা/ইমরান/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কল প কল প ড় উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে