শাবনূরের সঙ্গে কোন নায়ককে বেশি মানায়? জানালেন রিয়াজ
Published: 27th, June 2025 GMT
নব্বই দশকের দাপুটে নায়িকা শাবনূর। ঢালিউডে শাবনূর ও রিয়াজ একসময় চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় জুটি ছিলেন। সে সময় দুজনের প্রেমের গুঞ্জনও ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দুজন আলাদা করে সংসারী হয়েছেন। এখন পর্যন্ত বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল জুটি রিয়াজ-শাবনূর।
রিয়াজের আগে সালমান শাহর সঙ্গেই ছিল শাবনূরের জুটি। দারুণ সাড়া ফেলেছিলো এই জুটি। আজও দর্শক হৃদয়ে এই জুটির জন্য ভালোবাসা রয়েছে। ১৯৯৬ সালে সালমান শাহর মৃত্যুর পরই শাবনূর জুটি গড়েন নবাগত রিয়াজের সঙ্গে। রিয়াজ-শাবনূর জুটির প্রায় ৪০টির বেশি সিনেমা রয়েছে। টানা প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় রিয়াজ-শাবনূর জুটি রাজত্ব করেছে। ২০১২ সালের পর রিয়াজ-শাবনূর দুজনই সিনেমায় অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ফলে ভেঙে যায় দর্শক নন্দিত এই জুটি।
এখন রিয়াজ-শাবনূরের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে রিয়াজকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, শাবনূরের সঙ্গে কার বেশি মানায়। প্রশ্নে তিনটি অপশন ছিল, রিয়াজ, ফেরদৌস নাকি শাকিব খানের সঙ্গে।
আরো পড়ুন:
এবার একসঙ্গে প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী, দর্শনা
আমাদের অনেক আগেই বিচ্ছেদ হওয়ার কথা ছিল: কাজল
রিয়াজ জবাব দেন, ‘‘শাবনূর অনন্যা। শাবনূরের সাথে পারফরমেন্সে প্যারালালি কাজ করার মতো একমাত্র নায়ক ছিলো সালমান শাহ। তার সঙ্গেই শাবনূরকে বেশি মানাতো।’’
শাবনূরের আবার সিনেমায় ফেরার কথা চলছে। এ বিষয়ে রিয়াজের অভিমত, শাবনূর অনেক দিন সিনেমা থেকে দূরে আছে। এই সময়ের মধ্যে বাংলা চলচ্চিত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সিনেমা যদি করতেই হয় তাহলে সে যেন স্ক্রিপ্ট, ডিরেক্টরসহ পুরো টিম ঠিকঠাকভাবে সিলেক্ট করে তারপরে সিনেমায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র য় জ শ বন র শ বন র র
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু হাফসা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আরেক আসামি গ্রেপ্তার
পাবনা পৌর সদরের উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া এলাকায় ৯ বছরের শিশু শিক্ষার্থী হাফসা হত্যার ঘটনায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) দায়ের করা মামলায় আরো এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মামলার নামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার হলো।
গ্রেপ্তাররা হলেন, পাবনা পৌর সদরের উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া মহল্লার টিপু সরদারের ছেলে সাব্বির সরদার (২৬), ছবেদ আলীর ছেলে রমজান আলী (৩০) ও খালেক সরদারের ছেলে পান্না সরদার (২৮)। এদের মধ্যে সাব্বির ও রমজানকে রবিবার এবং পান্নাকে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন:
‘আবর্জনার মতো লাগে’ বলে অর্ধশত বকুলগাছ কাটা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার
বরগুনায় নাশকতার অভিযোগে ৩ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
এদিকে, শিশু হাফসাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্য করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহত হাফসার মা রিতু খাতুন বাদী হয়ে সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনজন নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে পাবনা টেক্সটাইল কলেজ এলাকা থেকে অভিযুক্ত পান্না সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মামলার প্রধান অভিযুক্ত নামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, শিশু হাফসা হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে জেলা প্রশাসক কর্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা। সেখানে নিহত শিশু শিক্ষার্থী হাফসার স্বজন ও এলাকাবাসী বক্তব্য দেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে তারা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। অন্যত্থায় আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন।
এ সময় প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে শিশু হাফসাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে প্রায় ২ ঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে বাড়ির পেছনের জঙ্গলের ভেতর পাটিতে মোড়ানো কাদা মাখা অবস্থায় হাফসার মরদেহ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতেই সন্দেহভাজন হিসেবে রমজান ও সাব্বির নামের দুইজনকে আটক করা হয়।
নিহত হাফসা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের প্রবাসী হাফিজুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
হাফসার নানার বাড়ির পাশের বাগানটি দীর্ঘদিন ধরে বখাটে, মাদকসেবী ও জুয়ারুদের আড্ডাস্থল ছিল বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাবনা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, “মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে শিশু হাফসাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এছাড়া পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয়েছে।”
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী