নব্বই দশকের দাপুটে নায়িকা শাবনূর। ঢালিউডে শাবনূর ও রিয়াজ একসময় চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় জুটি ছিলেন। সে সময় দুজনের প্রেমের গুঞ্জনও ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দুজন আলাদা করে সংসারী হয়েছেন। এখন পর্যন্ত বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল জুটি রিয়াজ-শাবনূর।

রিয়াজের আগে সালমান শাহর সঙ্গেই ছিল শাবনূরের জুটি। দারুণ সাড়া ফেলেছিলো এই জুটি। আজও দর্শক হৃদয়ে এই জুটির জন্য ভালোবাসা রয়েছে।  ১৯৯৬ সালে সালমান শাহর মৃত্যুর পরই শাবনূর জুটি গড়েন নবাগত রিয়াজের সঙ্গে। রিয়াজ-শাবনূর জুটির প্রায় ৪০টির বেশি সিনেমা রয়েছে। টানা প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় রিয়াজ-শাবনূর জুটি রাজত্ব করেছে। ২০১২ সালের পর রিয়াজ-শাবনূর দুজনই সিনেমায় অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ফলে ভেঙে যায় দর্শক নন্দিত এই জুটি।

এখন রিয়াজ-শাবনূরের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে রিয়াজকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, শাবনূরের সঙ্গে কার বেশি মানায়। প্রশ্নে তিনটি অপশন ছিল, রিয়াজ, ফেরদৌস নাকি শাকিব খানের সঙ্গে।

আরো পড়ুন:

এবার একসঙ্গে প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী, দর্শনা

আমাদের অনেক আগেই বিচ্ছেদ হওয়ার কথা ছিল: কাজল

রিয়াজ জবাব দেন, ‘‘শাবনূর অনন্যা। শাবনূরের সাথে পারফরমেন্সে প্যারালালি কাজ করার মতো একমাত্র নায়ক ছিলো  সালমান শাহ। তার সঙ্গেই শাবনূরকে বেশি মানাতো।’’

শাবনূরের আবার সিনেমায় ফেরার কথা চলছে। এ বিষয়ে রিয়াজের অভিমত,  শাবনূর অনেক দিন সিনেমা থেকে দূরে আছে। এই সময়ের মধ্যে বাংলা চলচ্চিত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সিনেমা যদি করতেই হয় তাহলে সে যেন স্ক্রিপ্ট, ডিরেক্টরসহ পুরো টিম ঠিকঠাকভাবে সিলেক্ট করে তারপরে সিনেমায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র য় জ শ বন র শ বন র র

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ