জামালপুরে বাড়িতে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 29th, June 2025 GMT
জামালপুরের ইসলামপুরে আবদুর রহিম (৪৮) নামের ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত ২টার দিকে উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যমুনা নদীর দুর্গম চর জিগাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আবদুর রহিম ওই গ্রামের মৃত তৈয়বুর খন্দকারের ছেলে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
নিহতের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে একদল লোক এসে প্রশাসনের পরিচয়ে দরজা খুলতে বলে। না খোলায় ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে দরজা খুলে দিলে তারা আবদুর রহিমকে টেনেহিঁচড়ে বের করে উঠানে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। পরে দুর্বৃত্তরা যমুনা নদী দিয়ে ট্রলারে করে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা আবদুর রহিমকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরও পিটিয়ে আহত করা হয়। রাতে মুখোশ পরে থাকায় কাউকে চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন আবদুর রহিমের পরিবারের সদস্যরা।
আবদুর রহিম কুলকান্দি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপদে টানা দুইবার নির্বাচিত হন। তাঁর স্ত্রী রেহেনা বেগম জানান, বাড়ির পাশের দোকানে চা পান করে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আবদুর রহিম ঘরে আসেন। ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে ঘর থেকে বের করে সন্তানদের সামনে আবদুর রহিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চান তিনি।
আবদুর রহিমের ভাই সোলায়মান খন্দকার ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, শনিবার রাতে যমুনা নদীর ভাটি এলাকা থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে ২০-২৫ জন তাদের বাড়িসংলগ্ন জিগাতলা খেয়াঘাটে আসে। পরে মুখোশধারীরা বাড়িতে এসে ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ ভাড়াটে খুনিদের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।
স্থানীয় কুলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিস সাংবাদিকদের জানান, আবদুর রহিম খুবই জনপ্রিয়। টানা দুইবার জনগণ তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। এমন মানুষকে এভাবে হত্যা মেনে নিতে পারছি না। আমরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ইসলামপুর থানার ওসি আ স ম আতিকুর রহমান জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সূত্র উদ্ঘাটন ও জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক প য় হত য ইউপ সদস য হত য ক ণ ড
এছাড়াও পড়ুন:
হলে হঠাৎ অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত্যু ঢাবি ছাত্রীর
রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসমা আক্তার লিজা নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভোরে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ।
লিজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে। তার বাড়ি নাটোরে।
আরো পড়ুন:
১৪ আগস্ট ‘প্রথম স্বাধীনতা দিবস` পালিত
ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতির রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের একজন শিক্ষার্থী জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন লিজা। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার হৃৎপিণ্ডে টিউমার ধরা পড়ে। তার ফুসফুসেও পানি জমে গিয়েছিল। পরে তাকে অন্য একটি মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ জানান, আসমা আক্তার লিজাকে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সিট ফাঁকা না থাকায় পরে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ভোরে তিনি মারা যান।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) জুমার নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে লিজার জানাজা হয় বলে জানান দেদী আল ফরহাদ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী।
ঢাকা/সৌরভ/সাইফ