কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কোনো শিক্ষার্থীর প্রতি যেকোনোভাবে সব ধরনের র‍্যাগিং, বুলিং, বডিশেমিং, ইভটিজিং থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি এ জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে শিক্ষার্থীদেরকে শারীরিক, মানসিক, মৌখিক কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সব ধরনের র‍্যাগিং, বুলিং, বডিশেমিং, ইভটিজিং থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলো। যদি কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে র‍্যাগিং, বুলিং, বডিশেমিং, ইভটিজিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একাডেমিক ও বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আরো পড়ুন:

ইবির সেই শিক্ষককে অপসারণ 

কথা অস্পষ্ট, পারেন না লিখতে তবুও দিচ্ছেন এইচএসসি পরীক্ষা

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.

আবদুল হাকিম বলেন, “প্রথমে নবীনদের সুস্বাগত। আমরা এবার স্বতন্ত্রভাবে পরীক্ষা নিয়ে সুষ্ঠুভাবে ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু করতে যাচ্ছি। প্রক্টরিয়াল বডি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যদি কেউ র‍্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি, নবীনদের যেকোনো সমস্যায় প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে যোগাযোগের আহ্বান করা হচ্ছে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবির দুই নারী শিক্ষার্থীসহ তিন শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিলেন ছাত্রদল নেতা ফারুক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তির সুযোগ পাওয়া আর্থিকভাবে অসচ্ছল তিন শিক্ষার্থীর ভর্তিসহ পড়াশোনার খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ২ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন। সম্প্রতি দুই নারীসহ তিন শিক্ষার্থীর হাতে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের তিন শিক্ষার্থীর একজন বাংলা বিভাগ, নৃবিজ্ঞান বিভাগ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছেন।

ছাত্রদল নেতা ফারুক হোসেন বলেন, আমি ছোট বেলায় থেকে অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি নিজের সাধ্য যতটুকু আছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য সবাই আসতে চায় না। পড়াশোনার খরচ বহন করতে পারে না অনেক পরিবার। সেভাবে এই মেধাবী বোন এবং ভাইয়ের পরিবারও অসচ্ছল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা চান্স পেয়েছে, কিন্তু অর্থিকভাবে তারা দুর্বল। তাই চিন্তা করলাম তাদের পাশে দাঁড়ায়। এ জায়গা থেকে তাদের পাশে দাঁড়ানো। শিক্ষা জীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি যেকোনও প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকব।

এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থার সংগঠন। শিক্ষার্থীদের যেকোনও প্রয়োজনে ছাত্রদল সবার আগে তাদের পাশে দাঁড়ায়। নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার পাশাপাশি অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর খুব টেনশনে ছিলাম কিভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাব। যেহেতু পরিবারের আর্থিক অবস্থাও ভালো না। ছাত্রদলের ভাইয়েরা খোঁজ নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পরিবারের লোকজন শুনে অনেক খুশি হয়েছে। যে স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি সে স্বপ পূরণ করতে পারব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ