চলতি মাসেই জাতীয় সনদ তৈরি সম্ভব : আলী রীয়াজ
Published: 2nd, July 2025 GMT
চলতি জুলাই মাসের মধ্যে ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।
জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই চলছে ধারাবাহিক সংলাপ। বুধবার (২ জুলাই) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের আলোচনার সূচনায় তিনি এ কথা বলেন। এতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আলোচনা শুরুর আগে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “প্রতিদিন হয়তো বড় কোনো অর্জন হচ্ছে না, তবে আমরা এগোচ্ছি। দলীয় অবস্থান সবারই আছে, কিন্তু আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগে আমরা আশাবাদী। মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।”
তিনি আরো বলেন, “সংস্কার নিয়ে দেশের মানুষ আশাবাদী। আমরা চাই না কেউ পুরোনো অবস্থানে ফিরে যাক। প্রশ্ন হলো আমরা কেবল নিজেদের স্বার্থ দেখব, নাকি দেশের স্বার্থও বিবেচনায় আনব।”
বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের সীমা এবং অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত প্রথম দফায় ৪৫টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হয়। মূল লক্ষ্য, জুলাই মাসের মধ্যেই একটি ঐকমত্যভিত্তিক ‘জাতীয় সনদ’ চূড়ান্ত করা।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “বেশির ভাগ দল নীতিগতভাবে দ্বিকক্ষীয় সংসদের পক্ষে। উচ্চকক্ষ গঠনে প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে আসন নির্ধারণে একমত হয়েছে অনেকেই, তবে এখনও কিছু দল আপত্তি করছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা আশাবাদী বড় পরিসরে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে এসে এই মাসেই একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে।”
ঢাকা/এএএম/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় সনদ
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশন বলছে, শরিয়াহ নিয়ে প্রশ্ন ছিল না, মামুনুল হক বললেন অসতর্কতায় অন্য জরিপের কথা বলেছেন
প্রথম আলোয় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে শরিয়াহ আইন নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হকের একটি মন্তব্য নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গত সোমবার মামুনুল হকের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
‘আফগানিস্তানে যেতে আইনি বাধা নেই’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারের একটি অংশে মামুনুল হক উল্লেখ করেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন বিষয়ে জরিপ চালানো হয়েছিল। সেখানে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ শরিয়াহ শাসন চেয়েছে।’
এ বিষয়ে প্রথম আলোকে দেওয়া বক্তব্যে ঐকমত্য কমিশন বলেছে, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে কমিশনের পক্ষ থেকে যে জরিপ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছিল, সেখানে শরিয়াহ আইন বা শরিয়াহ শাসনসংক্রান্ত কোনো প্রশ্নই অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ফলে উক্ত জরিপ থেকে এ ধরনের মতামত বা ফলাফল পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
অন্যদিকে এ বিষয়ে মামুনুল হক প্রথম আলোকে বলেছেন, ২০১৭ সালে ‘রিজলভ নেটওয়ার্ক’ পরিচালিত একটি জরিপকে তিনি অসতর্কতাবশত ঐকমত্য কমিশনের জরিপ বলে উল্লেখ করেছেন। ‘ডেমোক্রেসি অ্যান্ড শরিয়াহ ইন বাংলাদেশ: সার্ভেয়িং সাপোর্ট’ শীর্ষক ওই জরিপ প্রতিবেদন লিখেছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও সৈয়দা সেলিনা আজিজ। ওই জরিপে ৯১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের একটি মর্মবস্তু হচ্ছে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব। তবে ৮০ শতাংশের বেশি মনে করেন, শরিয়াহ আইন মৌলিক সেবা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দুর্নীতিকে নিরুৎসাহিত করে।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে তিনটি বিষয় নজর কেড়েছে, নারী শিক্ষার বিষয় আপত্তিকর ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫