Risingbd:
2025-07-12@03:05:28 GMT

আজ পবিত্র আশুরা

Published: 6th, July 2025 GMT

আজ পবিত্র আশুরা

আজ ১০ মহররম। মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিন। হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা হিসেবেও পরিচিত।

মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।

হিজরি মহররম মাসের দশম দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ। সবশেষ ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.

)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.)-এর এই তারিখে শাহাদত বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাছে শোক ও ত্যাগের মহিমার এক অনন্য অনুষজ্ঞ।

দিনটি উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেন, “পবিত্র আশুরা’র শোকাবহ এই দিনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং কারবালার প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শাহাদতবরণকারী সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।”

তিনি বলেন, “ইসলাম সত্য, ন্যায় এবং শান্তির ধর্ম। ইসলামের এই সুমহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে গিয়ে হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম হজরত ইমাম হোসেন (রা.), তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ সহচরবৃন্দ বিশ্বাসঘাতক ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার প্রান্তরে শহীদ হন। অত্যাচারীর অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ইসলামের বীর সৈনিকদের এই আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।” 

ঢাকা/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগ, চুয়েট শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইলেকট্রনিকস ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে গত ২০ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির ২৯১তম জরুরি সভায় ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে জানতে চেয়ে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে লিখিত জবাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ওই শিক্ষার্থী জবাব দেননি। তাই গত মঙ্গলবার শৃঙ্খলা কমিটির ২৯২তম সভায় ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুন ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি করে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট ও মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এরপর তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে পরদিন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর পরে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিলেও ওই শিক্ষার্থী কোনো জবাব দেননি। তাই তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ওই শিক্ষার্থী চাইলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবর এ শাস্তির বিষয়ে আপিল করতে পারবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগ, চুয়েট শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার