আজ ১০ মহররম। মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিন। হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা হিসেবেও পরিচিত।
মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।
হিজরি মহররম মাসের দশম দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ। সবশেষ ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.
দিনটি উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেন, “পবিত্র আশুরা’র শোকাবহ এই দিনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং কারবালার প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শাহাদতবরণকারী সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।”
তিনি বলেন, “ইসলাম সত্য, ন্যায় এবং শান্তির ধর্ম। ইসলামের এই সুমহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে গিয়ে হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম হজরত ইমাম হোসেন (রা.), তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ সহচরবৃন্দ বিশ্বাসঘাতক ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার প্রান্তরে শহীদ হন। অত্যাচারীর অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ইসলামের বীর সৈনিকদের এই আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।”
ঢাকা/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জামালপুর কারাগারে ‘অন্য বন্দীর’ পিটুনির শিকার এক বন্দীর ঢাকায় মৃত্যু
জামালপুর জেলা কারাগারে এক বন্দীর পিটুনিতে আহত অপর এক বন্দী হজরত আলী ওরফে পাগলা হজরত (২৫) আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। হজরত আলী একটি মাদকের মামলায় জামালপুর জেলা কারাগারে বন্দী ছিলেন।
জামালপুর কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, একটি হত্যা মামলায় জামালপুর জেলা কারাগারে বন্দী রহিদ মিয়া পাশের বিছানায় ঘুমন্ত হজরতকে দরজার কাঠ দিয়ে একাধিক আঘাত করেছিলেন। এরপর দুই হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
জামালপুর জেলা কারাগারে জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক মো. গোলাম দস্তগীর আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, একটি মাদকের মামলায় হাজতি হজরত আলী জামালপুর জেলা কারাগারে ওয়ার্ডে ঘুমিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পাশের বিছানার হাজতি রহিদ মিয়া টয়লেটের দরজার কাঠ দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় একাধিক আঘাত করে হজরত আলীকে রক্তাক্ত জখম করেন। হজরত আলী অচেতন হয়ে পড়লে প্রথমে তাঁকে জামালপুরে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ সকাল ১০টার দিকে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
কারা কর্মকর্তা দস্তগীর বলেন, হামলার কারণ জানা যায়নি। এ ব্যাপারে রহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে জামালপুর সদর থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। নিহত হজরত আলীর বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার তারাটিয়া বাজার টেংরি বাড়ি গ্রামে। তাঁর বাবা ইমাম হোসেন পেশায় কৃষক। দুই ভাইয়ের মধ্যে হজরত আলী ছোট ছিলেন।
আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে হজরত আলীর বাবা ইমাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মাসখানেক আগে হজরত আলী মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জামালপুর জেলা কারাগারে বন্দী ছিলেন। জামালপুর জেলা কারাগার থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে সিলিং ফ্যান ছাড়া নিয়ে সেখানকার অন্য এক বন্দীর সঙ্গে হজরতের তর্কাতর্কি হয়। পরে দুই-তিনজন বন্দী মিলে দরজার চৌকাঠ খুলে হজরতের মাথাসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে পেটান। তিনি বলেন, ‘কারাগারে এত সিকিউরিটি (নিরাপত্তা) থাকা সত্ত্বেও কীভাবে আমার ছেলেকে একেবারে পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো? আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।’