জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আট নেতাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বায়ক কমিটির এসব নেতার অব্যাহতির কারণ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক দায়িত্বে অবহেলার কথা বলা হয়েছে। তবে কী ধরনের অবহেলার কারণে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, বিজ্ঞপ্তিতে তা উল্লেখ করা হয়নি।

অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন, সাঈদ হাসান ইমন এবং সদস্য মো.

রবিউল ইসলাম, জাকির হোসেন রানু, রাকিব হোসেন, ওবায়দুল ইসলাম, আহমেদুল কবীর বাঁধন ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

গত ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মেহেদী হাসান হিমেলকে আহ্বায়ক ও শামসুল আরেফিনকে সদস্যসচিব করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

চলে গেলেন মধুমতী

বলিউড অভিনেত্রী মধুমতী মারা গেছেন। গতকাল মৃত্যু হয় ৮৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন মধুমতী। গতকাল ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
মধুমতীর আসল নাম ছিল হুটোক্সি রিপোর্টার। ধর্মেন্দ্র থেকে দিলীপ কুমার ও জিতেন্দ্রর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি নৃত্যশৈলের জন্যও সুনাম ছিল মধুমতীর। বলিউড অভিনেত্রী হেলেনের সঙ্গে তাঁর প্রায়ই তুলনা করা হতো। ‘আঁখে’, ‘টাওয়ার হাউজ়’, ‘শিকারি’, ‘মুঝে জিনে দো’র মতো ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি।

বলিউডের বিন্দু দারা সিং, অক্ষয় কুমার, চাঙ্কি পান্ডে, জসবিন্দ্র নরুলা শোক প্রকাশ করেছেন। মধুমতী বলিউডে অভিনয় ও নৃত্য প্রশিক্ষক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। শিল্পীর মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর ছাত্রছাত্রীরাও।
গতকাল বিকেলেই বুওশিওয়ারা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অভিনেত্রীর। বিন্দু দারা সিং মধুমতীর মৃত্যুতে লিখেছেন, ‘শিক্ষিকা ও পথপ্রদর্শক মধুমতীজির আত্মার শান্তি কামনা করি। সবার ভালোবাসা ও আশীর্বাদ নিয়ে তিনি এক সুন্দর জীবনযাপন করেছেন। আমরা অনেকেই তাঁর থেকে নাচ শিখেছি।’

মধুমতীর জন্ম ১৯৩৮ সালে। ১৯৫৭ সালে এক মারাঠি ছবিতে নৃত্যশিল্পী হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল। ছোটবেলা থেকে নাচের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল তাঁর। ভরতনাট্যম, কত্থক, কথাকলি ও মণিপুরির মতো নৃত্যের প্রশিক্ষণ ছিল তাঁর। পাশাপাশি বলিউডের ছবিতেও নাচের দক্ষতা ছিল।

আরও পড়ুনক্যানসারে মারা গেছেন ‘মহাভারত’ অভিনেতা১১ ঘণ্টা আগে

নৃত্যশিল্পী দীপক মনোহরকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তখন মধুমতীর বয়স মাত্র ১৯। দীপক বয়সে অনেকটা বড় ছিলেন এবং চার সন্তানের বাবা ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয় অল্প বয়সে। তারপর মধুমতীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ