এক দিন রিকশা চালান, আরেক দিন কারুপণ্য বানান ময়মনসিংহের জাহাঙ্গীর
Published: 6th, August 2025 GMT
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মনতলা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। পেটের তাগিদে রিকশা চালান। আর মনের খোরাক জোগাতে নান্দনিক সব কারুপণ্য বানান। বাঁশ ও নারকেলের মালা দিয়ে তৈরি করেন নান্দনিক সব কারুপণ্য। শখের বশে শুরু করলেও এখন এসব বিক্রি করেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন, নিজের এসব কারুপণ্য বিদেশে বিক্রির।
স্ত্রী জান্নাত আক্তার, ৯ ও দুই বছর বয়সী দুই মেয়ে নিয়ে জাহাঙ্গীরের সংসার। ২০০৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর নানা পেশা পাল্টে এখন রিকশা চালান জাহাঙ্গীর। ময়মনসিংহ নগরে এক দিন পরপর রিকশা চালান। যেদিন বাড়িতে থাকেন, সেদিন কারুপণ্য তৈরি করেন।
সম্প্রতি নগরের কাছারিঘাটে চলা বাণিজ্য মেলায় ঢুকে দেখা যায়, একটি টেবিলে বাঁশ ও নারকেলের মালা দিয়ে তৈরি কারুপণ্য সাজিয়ে বসে আছেন জান্নাত আক্তার। রাস্তা দিয়ে চলা মানুষ এসে দাঁড়াচ্ছেন, আর কারুপণ্য দেখছেন। অনেকে দরদাম করছেন, কেউ কেউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
হৃদয় মাহমুদ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘নারকেলের খোসাকে আমরা আরছি বলি। এগুলো ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো কাজ নেই। কিন্তু এই আরছি দিয়ে ফুল, গাছ, টব কত–কী তৈরি করা হয়েছে। সত্যি মুগ্ধ হওয়ার মতো!’
সম্প্রতি মনতলা গ্রামে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে রোদে শুকাচ্ছেন নারকেলের মালা। উঠানে নিজের তৈরি পণ্য রোদে দিয়ে সেগুলো পরিষ্কার করছিলেন। বাঁশের তৈরি কলমদানি, ব্রাশহোল্ডার, ফুলের টব, ওয়ালমেট, দেয়ালঘড়ি, কাপ, ল্যাম্প, চামচসহ কত–কী আছে সেখানে!
জাহাঙ্গীর আলম ২৫ থেকে ৩০ ধরনের পণ্য বানান বলে জানান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন রক ল র
এছাড়াও পড়ুন:
আনন্দ মোহনের অধ্যক্ষকে ওএসডি, অভিযোগ—তিনি আওয়ামী লীগের ‘দোসর’
ময়মনসিংহের সরকারি আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল ৪টায় দায়িত্ব হস্তান্তর করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তিনি। এ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন উপাধ্যক্ষ সাকির হোসেন।
এর আগে ৩১ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে উপসচিব (সরকারি কলেজ-২) আ. কুদদুসের সই করা একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে রোববার বিকেলের আগে উপাধ্যক্ষকে অধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়। আমান উল্লাহকে ২০২১ সালের ৮ আগস্ট অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল। তিনি একই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করে আসছিলেন।
গতকাল বিকেলে দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাকির হোসেনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (কমিটি স্থগিত) নেতারা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। তাঁদের একজন আনোয়ার হোসেন (যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহ্বায়ক) দাবি করেন, ‘সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন।’ তাঁরা লিখিতভাবে সচিবালয়ে ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
আমান উল্লাহকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাকির হোসেন বলেন, ‘গতকাল বিকেল ৪টার দিকে আমি দায়িত্ব বুঝে পেয়েছি। কলেজে যেন সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে পারি, এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই।’