জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই শাপলা কলি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তার দল। এক্ষেত্রে সৎ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব বেছে নেওয়া হবে। এ মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। যারা নতুন নেতৃত্ব ও নতুন বাংলাদেশ চান, তারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন।”

নির্বাচন কমিশনে এনসিপির নিবন্ধন ও শাপলা প্রতীক পাওয়া মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: নাহিদ

আগামী নির্বাচনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই: নাহিদ

নাহিদ বলেন, “এই নিবন্ধন লাভ করতে গিয়ে আমাদের অবর্ণনীয় কষ্ট করতে হয়েছে। আমরা শাপলা প্রতীক বরাদ্দ চাইলেও কমিশন দেয়নি। তাই তাদের সঙ্গে আমাদের এক ধরনের ঠান্ডা লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। অবশেষে আমরা শাপলা কলি প্রতীক পেয়েছি। যারা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের অভিনন্দন জানাই।”

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “আমরা জুলাই সনদ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে সারা দেশে জুলাই পদযাত্রা করেছি। সেখানে মানুষ আমাদের স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থন দিয়েছে। আশা করি জাতীয় নির্বাচনেও দেশবাসীর বিপুল সমর্থন পাব।”

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হ দ ইসল ম জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প আম দ র এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ রাজনীতিতে অনৈক্য ও বিভক্তি বাড়িয়েছে: রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর

এত দিন ধরে আলোচনা ও দলগুলোর স্বাক্ষরের পরেও কেন জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রস্তাব এল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন উন্নয়ন অন্বেষণের চেয়ারপারসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উপস্থাপিত বিষয়গুলোর বেশ কটির বিষয়ে ন্যূনতম ঐকমত্য হয়নি। তারা সেগুলোর প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যাও হাজির করেন না। তাদের সুপারিশ রাজনীতিতে অনৈক্য ও বিভক্তি বাড়িয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি মিলনায়তনে ‘প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫: নাগরিক প্রত্যাশা ও জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর এ কথা বলেন। গোলটেবিলের আয়োজন করে ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ নামের একটি সংগঠন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, রাজনীতিতে অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নিজেরা কতটা সংস্কারপন্থী সেটা জাহির করছে। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে, নিজেদের মধ্যে আলাপ–আলোচনা করে একমত হতে আহ্বান জানিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। অর্থাৎ রাজনৈতিক বিষয় রাজনীতিগতভাবে মীমাংসা না করে, অন্যভাবে মীমাংসা করার একটা বিষয়ও এর মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে।

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, কমিশন দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু এই যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নেই। এটি গণতন্ত্রের প্রতি অবজ্ঞা। গণভোট বিষয়ে তিনি বলেন, প্রস্তাব এতটাই জটিল যে সাধারণ ভোটারের পক্ষে এগুলো বোঝা কঠিন হবে।

‘চাপিয়ে দেওয়াটা গণতান্ত্রিক হবে না’

বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর ‘কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে’ জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এতে এমনটি প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে যে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হতে পারে না। তিনি মনে করেন, যাঁরা দেশ চালাবেন, সেই রাজনৈতিক দলগুলোরই উদ্যোগ নিয়ে একটি সমাধানের জায়গায় পৌঁছানো দরকার।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ঐকমত্য কমিশন কেন ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ রাখল, তা এখনো বোধগম্য নয়। ব্যাখ্যা না দিয়ে কিছু চাপিয়ে দেওয়াটা গণতান্ত্রিক হবে না।

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর

সম্পর্কিত নিবন্ধ