জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা ঢাকার কয়েকটি আসনসহ দেশের বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে তাঁদের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। এর মধ্যে ওই সব আসনের বেশির ভাগে গতকাল প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১, আখতার হোসেন রংপুর-৪, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকা-১৮ অথবা চাঁদপুর-৫ এবং হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসনে নির্বাচন করতে আগ্রহী। বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন করতে পারেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ রাজনীতিতে অনৈক্য ও বিভক্তি বাড়িয়েছে: রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর

এত দিন ধরে আলোচনা ও দলগুলোর স্বাক্ষরের পরেও কেন জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রস্তাব এল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন উন্নয়ন অন্বেষণের চেয়ারপারসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উপস্থাপিত বিষয়গুলোর বেশ কটির বিষয়ে ন্যূনতম ঐকমত্য হয়নি। তারা সেগুলোর প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যাও হাজির করেন না। তাদের সুপারিশ রাজনীতিতে অনৈক্য ও বিভক্তি বাড়িয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি মিলনায়তনে ‘প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫: নাগরিক প্রত্যাশা ও জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর এ কথা বলেন। গোলটেবিলের আয়োজন করে ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ নামের একটি সংগঠন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, রাজনীতিতে অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নিজেরা কতটা সংস্কারপন্থী সেটা জাহির করছে। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে, নিজেদের মধ্যে আলাপ–আলোচনা করে একমত হতে আহ্বান জানিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। অর্থাৎ রাজনৈতিক বিষয় রাজনীতিগতভাবে মীমাংসা না করে, অন্যভাবে মীমাংসা করার একটা বিষয়ও এর মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে।

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, কমিশন দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু এই যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নেই। এটি গণতন্ত্রের প্রতি অবজ্ঞা। গণভোট বিষয়ে তিনি বলেন, প্রস্তাব এতটাই জটিল যে সাধারণ ভোটারের পক্ষে এগুলো বোঝা কঠিন হবে।

‘চাপিয়ে দেওয়াটা গণতান্ত্রিক হবে না’

বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর ‘কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে’ জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এতে এমনটি প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে যে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হতে পারে না। তিনি মনে করেন, যাঁরা দেশ চালাবেন, সেই রাজনৈতিক দলগুলোরই উদ্যোগ নিয়ে একটি সমাধানের জায়গায় পৌঁছানো দরকার।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ঐকমত্য কমিশন কেন ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ রাখল, তা এখনো বোধগম্য নয়। ব্যাখ্যা না দিয়ে কিছু চাপিয়ে দেওয়াটা গণতান্ত্রিক হবে না।

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর

সম্পর্কিত নিবন্ধ