কন্নড় সিনেমার অভিনেতা সন্তোষ বলরাজ মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর। ইন্ডিয়া টুডে এ খবর প্রকাশ করেছে।
দ্য উইক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জন্ডিস হয়েছিল সন্তোষের। ফলে তার যকৃত ও কিডনির সমস্যাতে দেখা দেয়। গত মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রযোজক অনেকল বলরাজের পুত্র সন্তোষ বলরাজ। ২০২২ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান এই নায়কের বাবা। ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত ছিলেন সন্তোষ। বাবার মৃত্যুর পর মাকে নিয়েই তার সংসার ছিল।
আরো পড়ুন:
প্রেম করছেন ধানুশ-ম্রুণাল?
কমেডিয়ান মদন মারা গেছেন
সন্তোষের অভিনয়জীবন তার বাবা নিবিড়ভাবে জড়িত। অনেকল বলরাজ ছিলেন কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। ছেলের ক্যারিয়ার গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ২০০৯ সালে অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার ‘কেম্পা’ সিনেমা দিয়ে রুপালি জগতে অভিষেক ঘটে তার। কন্নড় ভাষার এই সিনেমা গ্রামীণ সংঘাতের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়।
২০১৫ সালে মুক্তি পায় সন্তোষ অভিনীত ‘গনপা’ সিনেমা। এ সিনেমা মুক্তির পর তাকে আরো জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এতে সাহসী চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। তার অভিনীত অন্যান্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে— ‘ওলাভিনা ওলে’, ‘জন্ম’ প্রভৃতি
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে মনোনয়ন না পাওয়া ৫ নেতা ও দলীয় প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়া পাঁচ নেতা ও দলীয় মনোনীত প্রার্থী পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছেন। দুই পক্ষের কর্মসূচির ফলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
আজ সোমবার বেলা একটার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোডে মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম খানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে দলের পাঁচ নেতা একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেন। তাঁরা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান। অন্যদিকে বিকেল পাঁচটার দিকে জেলা শহরের রথখলা মাঠ থেকে মাজহারুল ইসলামের পক্ষে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারও রথখলা মাঠে এসে জড়ো হয়। সেখানে মাজহারুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মাজহারুল ইসলাম ছাড়াও বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালীউল্লাহ্ রাব্বানী, সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন, সাবেক সহসভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ।
মনোনয়নবঞ্চিত এই নেতাদের মধ্যে ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী ছাড়া বাকি পাঁচজন মাজহারুলের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে এককাট্টা হয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন। তাঁরা প্রতিবাদ সভা, সংবাদ সম্মেলন, মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচির পাশাপাশি মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে আসছেন।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পাঁচ নেতা বলেন, মাজহারুল ইসলাম ১৭ বছর ধরে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন না। তিনি দুর্দিনে কোনো নেতা-কর্মীর খোঁজখবর নেননি। গত স্বৈরাচার সরকারের সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা যেখানে শত শত মামলা–মোকদ্দমায় জর্জরিত ছিলেন, সে সময়ে মাজহারুল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের দালালি করেছেন। তাঁর মতো অযোগ্য লোককে মনোনয়ন দেওয়ায় তাঁরা হতাশ।
বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়া পাঁচ নেতার সংবাদ সম্মেলন। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের স্টেশন রোডে বিএনপি নেতা রেজাউল করিমের দলীয় কার্যালয়ে