‘শুয়া চান পাখি আমার, আমি ডাকিতেছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’—এই গানের মতোই সুরের জাদুতে বাংলা সংগীতে নতুন মায়া এনেছিলেন বারী সিদ্দিকী। আধুনিক–ফোক ঘরানার এই অনন্য শিল্পী ২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর পাড়ি জমিয়েছেন চিরঘুমের দেশে।  

বারী সিদ্দিকী আর কখনো সাড়া দেবেন না তারই গাওয়া—‘আমি একটা জিন্দা লাশ, কাটিস নারে জংলার বাঁশ, আমার লাইগা সাড়ে তিন হাত কবর খুঁড়িস না’ এর মতো মর্মস্পর্শী পঙ্‌ক্তিগুলোতে। তারপরও তিনি নেই—এ কথা যেন মেনে নেওয়া কঠিন। কারণ ইথারে, মানুষের স্মৃতিতে, আর সংগীতপ্রেমীদের প্লেলিস্টে আজও ভেসে বেড়ায় তার অসংখ্য কালজয়ী গান। শ্রোতারা এখনো তার কণ্ঠে বিভোর হন, হারিয়ে যান আবেগের ভেতর। 

বারী সিদ্দিকীর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রামপুরায় ‘বারী সিদ্দিকী স্মৃতি পরিষদ’ কার্যালয়ে এক মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানে তার ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সংগীতশিল্পীর ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত থাকবেন।

অল্প বয়সে গান ও বাঁশির সঙ্গে তার আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সংগীতময় পরিবারে বড় হলেও সামাজিক কারণে গান জানা থাকলেও মা কখনো প্রকাশ্যে গান করেননি; তবে ছেলের শিল্পী হয়ে উঠার পথে তিনিই ছিলেন প্রথম প্রেরণা। নিয়মিত অনুশীলন, দিন–রাত সাধনার মধ্য দিয়ে এগিয়েও দীর্ঘ সময় বাঁশিবাদক হিসেবে পরিচিতি পাননি। বরং অনেক সময় শুনতে হয়েছে ঠাট্টা–তিরস্কার। কিন্তু অন্তর্গত সুর তাকে ছাড়েনি—ধীরে ধীরে পথ খুলেছে গানের জগতে।

দেশের বাইরে তিনি সম্মান পেয়েছেন বাঁশিবাদক হিসেবে; আর দেশে জনপ্রিয়তা এসেছে গান দিয়ে। পেশাদার জীবনে তিনি শুধু গায়ক নন—ছিলেন ব্যস্ত সুরকারও। সুবীর নন্দী, মনির খান, আসিফসহ বহু শিল্পীর জনপ্রিয় গান তার সুরে নির্মিত। তবে হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরেই তার গানের সত্যিকারের বিস্ফোরণ ঘটে—‘শুয়া চান পাখি’, ‘আমি একটা জিন্দা লাশ’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’ কিংবা ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’ তাকে অমরতার জায়গায় পৌঁছে দেয়।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে ‘মেইড ইন ইন্ডিয়া’ লেখা পিস্তল ও গুলি উদ্ধার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পিস্তল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত পিস্তলে লেখা রয়েছে, মেইড ইন ইন্ডিয়া।

রবিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সড়াবাড়িয়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে, এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি।

জানা যায়, অভিযানের সময় মাসুদ নামে একজন পালিয়ে যান। এ সময় তার বাড়ির আঙিনা থেকে একটি ভারতীয় পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও দুইটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ ১০টির বেশি মামলা রয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘গত রাতে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করেছে।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ