গণ-অভ্যুত্থানকালে ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগত অপরাধের অংশ হিসেবে রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয়জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এই মামলার আসামিরা ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগত অপরাধের অংশ জেনেও হত্যার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সূচনা বক্তব্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।

আরও পড়ুনডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা১০ আগস্ট ২০২৫

বিচারপতি মো.

গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সূচনা বক্তব্য দেন তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এই মামলায় আটজন আসামি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল পলাতক।

আরও পড়ুনআবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ০৬ আগস্ট ২০২৫

আসামি শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক আরশাদ হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার আছেন। আজ তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

আরও পড়ুন‘জঙ্গি নাটক’ সাজিয়ে সাবেক মেজর জাহিদুল হত্যার অভিযোগ চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে১০ আগস্ট ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম নবত ব র ধ ল ইসল ম অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে যে পাঁচ অভিযোগ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই পাঁচ অভিযোগ হলো, উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ; রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা; রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় আন্দোলনরত ছয়জনকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা।

শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান পলাতক। দুজনই এখন ভারতে অবস্থান করছেন।

এই মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে আজ সোমবার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাস থেকে রায় ঘোষণার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করার কথা রয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় হতে যাচ্ছে আজ।

বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে গতকাল রোববার এক ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ তাঁরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন। ন্যায়বিচারের স্বার্থে ট্রাইব্যুনাল যে আদেশ দিক না কেন, প্রসিকিউশন সেটা মেনে নেবে।

এই প্রসিকিউটর বলেন, এ মামলার রায়ের যে অংশটুকু ট্রাইব্যুনাল পড়ে শোনাবেন, সেটুকু ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

আরও পড়ুনজুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় আজ ১ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)।

প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, রায়ে যদি ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদান করেন, তাহলে ইন্টারপোলে আরেকটি ‘কনভিকশন ওয়ারেন্টের’ (দণ্ডাদেশের পরোয়ানা) আবেদন করবে প্রসিকিউশন, তাঁর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসিনার বিরুদ্ধে যে পাঁচ অভিযোগ
  • শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে যে পাঁচ অভিযোগ