ক্রিকেট ধারাভাষ্যের পাঁচ শিক্ষক: রবি শাস্ত্রী যা শিখেছেন তাঁদের কাছ থেকে
Published: 17th, August 2025 GMT
ধারাভাষ্যে সুনীল গাভাস্কারের পাশাপাশি তাঁকেও ভারতীয় ক্রিকেটের কণ্ঠস্বর বলা যায়। দরাজ কণ্ঠ ও খেলার বিশ্লেষণে নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছেন রবি শাস্ত্রী। খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জেতা বাঁহাতি এই স্পিন অলরাউন্ডার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মেরেছেন ছয় বলে ছয় ছক্কাও। ১১ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ভারতের হয়ে ৮০ টেস্টে করেছেন ৩৮৩০ রান। বোলিংয়ে নিয়েছেন ১৫১ উইকেট। ২০২১ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর বই ‘স্টারগেজিং: দ্য প্লেয়ার্স ইন মাই লাইফ’। যেখানে লার্নিং ইন দ্য বক্স নামে একটা অধ্যায়ে শাস্ত্রী লিখেছেন তাঁর চোখে সেরা পাঁচ ধারাভাষ্য শিক্ষকের কথা। রিচি বেনো, গ্রেগ চ্যাপেল, ব্যারি রিচার্ডস, টনি গ্রেগ ও নাসের হুসেইন—কীভাবে এই তারকারা তাঁর ধারাভাষ্য ক্যারিয়ারকে নতুন রূপ দিয়েছেন, সেই গল্পই উঠে এসেছে শাস্ত্রীর লেখায়.
রিচি বেনো শুধু পঞ্চাশের শেষ থেকে ষাটের শুরুর দিকের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারই ছিলেন না, তিনি সেই সময়ের অন্যতম সেরা অধিনায়কও। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে এই অস্ট্রেলিয়ান হয়ে ওঠেন ক্রিকেটের সবচেয়ে খ্যাতিমান টিভি ধারাভাষ্যকার।
আমার খেলোয়াড়ি দিনগুলোতে তাঁকে দেখে একটু ভয়ই পেতাম বলতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ায় চ্যানেল নাইনে কিংবা ইংল্যান্ডে বিবিসির হয়ে দায়িত্ব পালনের সময় কয়েকবার আলাপ হয়েছে। কিন্তু কথাবার্তা তেমন এগোয়নি, কারণ আমি প্রায় জড়সড় হয়ে যেতাম। তবু তখন থেকেই তাঁর আচরণে মুগ্ধ ছিলাম—একেবারে পেশাদার, নিখুঁত। চুলের একটা গোছা এলোমেলো নয়, শার্টে কোনো ভাঁজ নেই, আর টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে ব্লেজারের পকেট রুমালও ঠিকঠাক জায়গায়। একেবারে ঝকঝকে।
অনেকে ভাবত, এটা তাঁর অহংকার। আসলে তা নয়। তিনি বুঝেছিলেন টিভি মানে নিখুঁত ভিজ্যুয়াল, আর ক্যামেরা কোনো ছাড় দেয় না। তাঁর কাছ থেকেই আমি শিখেছিলাম—ক্যামেরাকে বন্ধু বানাতে না পারলে দর্শকের মন জয় করা যায় না। টিভি এতটা নির্মম যে সামান্য অগোছালোভাবও বিশাল ভুলের মতো চোখে লাগে। রিচি এই ভুলের সুযোগই রাখতেন না।
‘ক্রিকেটের কণ্ঠস্বর’ ছিলেন রিচি বেনোউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের লোকসান বেড়েছে ২৩৭.০২ শতাংশ
পুঁজিবাজারে আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন, ২০২৫) ও অর্ধবার্ষিক (জানুয়ারি-জুন, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী অর্ধবার্ষিক প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ২৩৭.০২ শতাংশ।
রবিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
তথ্য মতে, চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (৩.০২) টাকা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.৩৪) টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ২.৬৮ টাকা বা ৭৮৮.২৩ শতাংশ।
চলতি হিসাব বছরের ছয় মাস বা অর্ধবার্ষিক প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (৬.১০)। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (১.৮১) টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ৪.২৯ টাকা বা ২৩৭.০২ শতাংশ।
২০২৫ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে (২১৮.৪২) টাকায়।
ঢাকা/এনটি/ইভা