টাঙ্গাইলের নাগরপুরের মাহমুদনগর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) মো. ফরহাদ আলীর বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেও বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ও হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

এর প্রতিবাদে গত ১২ আগস্ট স্থানীয় ২৮ জন বাসিন্দার স্বাক্ষর সংযোজন করে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন মো.

আলমাছ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি।

লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভূমি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ আলীর কাছে জমির নামজারী করতে গেলে লাখ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। এক জনের জমির খাজনার পরিমাণ দুইশ’ টাকা হলে মো. ফরহাদ আলী পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ভূমি সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করে আসছেন ফরহাদ আলী। নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়, জমির পর্চা (খসড়া) তোলাসহ ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজে সরকার নির্ধারিত অর্থের বাইরেও বাড়তি টাকা নেওয়া হয়। তার সাথে চুক্তি ছাড়া কোনো কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে না। চুক্তি অনুযায়ী টাকা না দিলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন সেবা পাচ্ছেন না সেবা গ্রহীতারা। 

এছাড়া বাড়তি টাকা আদায়ের বাইরেও গ্রাহকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হয়রানির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সব জেনেও সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি কমাতে কোন ধরনের কার্যকরি পদক্ষেপ নেই বলে জানিয়েছেন সেবাগ্রহীতারা।

সেবা নিতে আসা নুরুল ইসলাম, আবুসাইদ, মো. ফজলুল হকসহ একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, “এই অফিসের কর্মকর্তা ফরহাদ আলীর কাছে সেবা নিতে গেলে তার চাহিদামতো টাকার বিনিময়ে চুক্তির বাইরে কোন সেবা মিলছে না। এসব অনিয়ম দেখার কেউ নেই। ফরহাদ আলীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।”

অভিযোগের বিষয়ে ভূমি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ আলী বলেন, “আলমাছ নামে যে অভিযোগ দিয়েছেন তিনি একজন দলিল লেখক। আমার দুই বছর চাকরি সুবাধে সে তার পারিবারিক বা আত্মীয় স্বজনের কাজ নিয়ে আসেনি আমার কাছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন তিনি।”

ঢাকা/কাওছার/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের শিক্ষাবৃত্তি, পাবেন স্নাতক শিক্ষার্থীরা

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন ২০২৪ সালে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অসচ্ছল মেধাবী স্নাতক বা সমমান পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করবে। এটি শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রমের আওতাধীন।

দরকারি তথ্য

১. এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

২. স্নাতক বা সমমানে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থী হতে হবে।

৩. আবেদনপত্রের ফরম শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সব শাখায় অথবা http://sjiblbd.com/schoarship থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

বৃত্তির জন্য আবেদনের যোগ্যতা

১. বিভাগীয় শহর বা সিটি করপোরেশন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে: বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫। অন্যান্য বিভাগে জিপিএ-৪.৮০।

২. সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে: বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীর জিপিএ-৪.৮০, অন্যান্য বিভাগে জিপিএ-৪.৫০।

জেনে রাখুন

১. আগ্রহী প্রার্থীকে বৃত্তির জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করে তার সঙ্গে ফরমের ৩ নম্বর পৃষ্ঠায় ক্রমিক নম্বর ২০-এ বর্ণিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।

২. যেসব আবেদনকারীর মাতাপিতা বা অভিভাবকের বাত্সরিক মোট আয় দুই লাখ টাকার ঊর্ধ্বে, তাদের আবেদনপত্র গৃহীত হবে না।

আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা: পুনর্নিরীক্ষণেই ধরা পড়ে এত ভুল, দাবি পুনর্মূল্যায়নের৫ ঘণ্টা আগেশাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন ২০২৪ সালে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অসচ্ছল মেধাবী স্নাতক বা সমমান পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ