ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার কার্যক্রম মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল অনুসারে প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন।

এদিকে, সকাল ১১টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডাকসুর সব প্রার্থীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

রাকসুর মনোনয়ন বিতরণের শেষ দিন আজ

রাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে নবীনদের বিক্ষোভ

সভায় ডাকসু নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসার কাজী মারুফুল হক বলেন, “একটি জরুরি বিষয় আপনাদের জানানোর জন্য আজ এখানে আসা—ডাকসু বিষয়ে কিছু সতর্কতা জানাতে এসেছি।”

তিনি বলেন, “ডাকসু আমাদের এক্সট্রা-কারিকুলার অ্যাকটিভিটি। আমাদের মূল কাজ পড়াশোনা। ডাকসুর প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে পাঠ কার্যক্রম, গবেষণা, সেমিনার যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়—এটা খুবই কঠোরভাবে দেখা হবে।”

নির্বাচনী আচরণবিধি প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “জুলাই আন্দোলন হয়েছে বলেই আজ আমরা এখানে এই উদ্দেশ্যে সমবেত হতে পেরেছি। কোনোভাবেই জুলাই নিয়ে কটাক্ষ করে বা অসম্মান করে কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না।”

রিটার্নিং অফিসার বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ, সার্বভৌমত্ব, আমাদের দেশের স্বার্থ সবার আগে। কোনো প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করে প্রচার চালালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটি অমার্জনীয় এবং এর জন্য বিধিবদ্ধ শাস্তি প্রয়োগ করা হবে।”

রিটার্নিং অফিসার সতর্ক করে বলেন, “ডাকসুর প্রচার-প্রচারণা চালানোর সময় হলের রিটার্নিং অফিসাররা আপনাদের শিক্ষক। কোনো ধরনের বেয়াদবি বরদাশত করা হবে না, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।”

অনলাইনে কারও প্রতি কোনো হেট স্পিচ বা অসম্মানজনক বক্তব্য বরদাশত করা হবে না বলেও সতর্ক করেন কাজী মারুফুল হক।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অফ স র সতর ক

এছাড়াও পড়ুন:

মনোনয়নপত্র নিতে এসে স্লোগান, আচরণবিধি ভাঙলেন এক শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) মনোনয়নপত্র নিতে এসে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তাঁর নাম সালমান রহমান। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে চাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্যপদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনি।

নির্বাচনী আচরণবিধি–২ এর ক অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। প্রার্থী পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন না।

সরেজমিনে দেখা যায়, সালমান রহমান ৮ থেকে ১০ জন সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে আসেন। মনোনয়নপত্র নেওয়ার পর চাকসু ভবনের ভেতরেই সালমানের নাম ধরে স্লোগান দেন সমর্থকেরা। স্লোগান দিতে দিতে চাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে নামেন তাঁরা। এ সময় সালমান রহমান সবার মাঝখানেই ছিলেন। তাঁকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা যায়।

আচরণবিধি ভাঙার বিষয়টি স্বীকার করে সালমান রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে লড়বেন। তাঁর সমর্থকেরা না বুঝে স্লোগান দিয়েছেন। এ ধরনের ভুল আর হবে না।

জানতে চাইলে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এসব বিষয় দেখভালের জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী ১২ অক্টোবর চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার মোট ভোটার ২৭ হাজার ৬৩৭ জন। গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র বিতরণ। আজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার শেষ দিন।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মনোনয়নপত্র বুধবার পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। যাচাই-বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হবে ২১ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ সেপ্টেম্বর। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাত্রশিবিরের ভরসা ওএমআর মেশিনে, ছাত্রদল চায় হাতে ভোট গণনা
  • গকসু নির্বাচন: জিএস প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
  • মনোনয়নপত্র নিতে এসে স্লোগান, আচরণবিধি ভাঙলেন এক শিক্ষার্থী