রাকসু নির্বাচনে এক বিভাগ থেকেই ভিপিসহ ২২ প্রার্থী
Published: 20th, September 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৯টি বিভাগ থেকে বিভিন্ন পদে লড়বেন শিক্ষার্থীরা।
এবার নির্বাচনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকেই লড়ছেন ২২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ১২ জন এবং হল সংসদে ১০ জন। এছাড়া লড়ছেন ভিপি পদেও।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস
রাকসু-চাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শিক্ষার্থীদের এই অংশগ্রহণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তাদের আশা প্রার্থীরা নির্বাচিত হবে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে। এছাড়া ভবিষ্যত নেতৃত্বে এটা বড় ভূমিকা রাকবে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে লড়ছেন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সাইদুল ইসলাম আকাশ, জোহা হলে ভিপি পদে শিখর রায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি পদে ইরফান তামিম, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহির ফয়সাল লড়বেন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে বিল্লাল হুসাইন, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সৈয়দ আব্দুল কাদের, শাহরিয়ার মোর্শেদ, সহ-মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নূরনবি, হল সংসদে ক্রীড়া সম্পাদক পদে রুহুল আমীন, সাংস্কৃতি সম্পাদক রনি আহমেদ, আলিম খান, সহ-সাংস্কৃতি সম্পাদক পদে আবু নাঈম, বিজয় ২৪ হলে জিএস পদে জুবায়ের জিসান।
এছাড়া ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে সিনেট সদস্য এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে ইনসান আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে (তাপসী রাবেয়া হল) খাতিজা আক্তার হিয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে (শহীদ হবিবুর রহমান হল) এনামুল হক, সহ-ক্রিয়া সম্পাদক ( জুলাই-৩৬ হল) উম্মে জাহান (বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত), ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে এজিএস পদে শাহ পরান লিখন, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুনান হাওলাদার, সহ-নারী-বিষয়ক সম্পাদক পদে নাদিয়া হক, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে শরিপুল ইসলাম, ২৩-২৪ সেশন থেকে মাদার বখস হলের কার্যনির্বাহী পদে আল আমিন লড়বেন।
এ বিষয়ে বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী ও সহ-প্রচার সম্পাদক পদপ্রার্থী মুনান হাওলাদার বলেন, “আসলে ক্যাম্পাসের যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছে। আর যেহেতু ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেহেতু সব বিভাগের মধ্যেই একটা উৎসাহ কাজ করছে। আমাদের গণযোগাযোগ বিভাগ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করছেন, এটা অবশ্যই ইতিবাচক ও গর্বের।”
বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম তানবীর বলেন, “দীর্ঘদিন পরে রাকসু হচ্ছে। সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে রাকসুকে বরণ করছে। সেই জায়গা থেকে আমাদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ২০ এর অধিক প্রার্থী কেন্দ্রে এবং হল সংসদে দাঁড়িয়েছে। আমি এই বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে বিষয়টি খুবই পজিটিভলি দেখছি এবং নির্বাচনের মাঠে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমরা আগে পরে দেখেছি বিভাগের অনেকেরই নেতৃত্ব গুণ রয়েছে। জুলাই-আগস্টে সম্মুখ সারিতে থেকে অনেকেই নেতৃত্ব দিয়েছে। আমি মনে করি রাকসুতেও এমন নেতৃত্ব গুণাবলী সম্মিলিত শিক্ষার্থী দরকার। এছাড়া মিডিয়ার শিক্ষার্থী হওয়ায় মিডিয়া ও প্রকাশনার যে দুইটি পদ রয়েছে সেখানে আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে।”
বিভাগের সভাপতি ড.
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষ বর ষ থ ক গণয গ য গ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
‘হুক্কা’ প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা
আদালতের আদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘হুক্কা’ প্রতীকে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টিকে (জাগপা) নিবন্ধন ফিরে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রবিবার (২ নভেম্বর) ইসি সচিব সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
চবি ছাত্রদলের ৪২০ জনের কমিটিতে নারী মাত্র ১১
জকসুতে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়া করেছে প্রশাসন: ছাত্রদল
২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টিকে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
শর্ত প্রাতপালন না করায় ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নির্বাচন কমিশন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করে।
নিবন্ধন বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সে বছরই হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন দলটির সভাপতি তাসমিয়া প্রধান। এ বছর মার্চে দলটিকে নিবন্ধন দেওয়ার আদেশ দেয় আদালত।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি শফিউল আলম প্রধান মারা যান ২০১৭ সালের ২১ মে। এরপর ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর মারা যান দলটির সভানেত্রী রেহানা প্রধান। পরে তাদের মেয়ে তাসমিয়া প্রধান ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নেন।
রবিবার ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আরপিও অনুযায়ী জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি নামে দলকে ২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর ইসি (নিবন্ধন নম্বর-০৩৬, প্রতীক ‘হুক্কা’) নিবন্ধন দেয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই দলটির নাম সংশোধন করে ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা’ নামে সংশোধিত সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
ইসি ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। পরে বিষয়টি নিয়ে দায়ের করা হয় রিট পিটিশন (নম্বর-৭৭৭৬/২০২১)। এই মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ ২০২৫ সালের ১৯ মার্চ রায় রায়ে ইসির ২০২১ সালের প্রজ্ঞাপনটি একপেশে ঘোষণা করে।
হাইকোর্টের ওই রায়ের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ২০২১ সালের নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করেছে এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার নিবন্ধন ‘হুক্কা’ দলীয় প্রতীকসহ পুনর্বহাল করেছে।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ