অটোমোবাইল, এগ্রো-মেশিনারি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাত বাংলাদেশের শিল্প খাতের সম্ভাবনা ও সক্ষমতাকে তুলে ধরছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

তিনি বলেন, “এই সেক্টরগুলো আমাদের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। যা দেশের রপ্তানি বহুমুখীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং  অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ‘অটোমোবাইলস অ্যান্ড এগ্রো-মেশিনারি ফেয়ার ২০২৫- রোড টু মেড ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

শিল্ল উপদেষ্টা বলেন,“এই মেলার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য হলো ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডকে বিশ্বমানের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এজন্য প্রয়োজন উৎপাদনভিত্তিক শিল্পের বিকাশ, প্রযুক্তি স্থানান্তর, গবেষণা ও উদ্ভাবন, এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প সচিব মো.

ওবায়দুর রহমান বলেন,“অটোমোবাইল, এগ্রো-মেশিনারি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাত দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। শিল্প সমৃদ্ধ দেশ ও দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করছে।”

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর সভাপতি জনাব আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের এমডি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ড. এম আবু ইউসুফ, কৃষিপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা আলিমুজ্জামান চৌধুরী ও আব্দুর রাজ্জাক।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ড. এম মাসরুর রিয়াজ তার উপস্থাপনায় তথ্য- উপাত্তসহ অটোমোবাইল, এগ্রো-মেশিনারি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের বর্তমান অবস্থা, প্রবৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ করণীয় তুলে ধরেন।

শিল্প উপদেষ্টা মেলার উদ্বোধন করে অংশগ্রহণকারী স্টল ঘুরে দেখেন এবং উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ল প উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় শতাধিক উদ্যোক্তা, গাছী ও গবেষক নিয়ে রাবিতে গুড় সম্মেলন

দেশের ৬৪টি জেলা থেকে প্রায় ছয় শতাধিক গুড় উৎপাদনকারী, গাছী, উদ্যোক্তা এবং গবেষক নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বিতীয় ‘গুড় সম্মেলন ২০২৫’।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ‘রস ও গুড়’ এবং রাবি উদ্যোক্তা ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের আয়োজনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখকের রাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা

বিশ্ব শিক্ষক দিবস: রাবিতে ৩ অধ্যাপককে সম্মাননা

এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের আপ্যায়নে ছিল চা, তাও খেজুরের বিচি দিয়ে তৈরি। খাবার খাওয়ার পর ডেজার্ট হিসেবে ছিল ঘ্রাণ ছড়ানো নতুন খেজুর গুড়ের পায়েশ। এসময় কয়েকটি স্টলে গুড় উৎপাদন, গুড় গবেষণা, বাজারজাতকরণ ও বিভিন্ন প্রকার গুড়ের প্রদর্শনী করা হয়। খেজুরপাতা দিয়ে তৈরি মসজিদ, জায়নামাজ, তসবীহ ছিল অন্যতম আকর্ষণ।

সম্মেলনে অংশ নেওয়া গবেষক ও উদ্যোক্তা সৈয়দ মুহাম্মদ মঈনুল আনোয়ার বলেন, “আমরা চাই গুড়ের মত একটা সম্ভবনাময় শিল্পকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে। গুড়কে বিশুদ্ধভাবে সরবরাহ করা এবং বিদেশে গুড় রপ্তানি করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। অন্যদিকে বিদেশ থেকে আমরা চাইনিজ জায়নামাজ, মেসওয়াক, তসবীহসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে থাকি। কিন্তু আমরা চাইলেই খেজুর গাছের বিভিন্ন অংশ দিয়ে দৈনন্দিন বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা মিটিয়ে নিতে পারি।”

সম্মেলনে অংশ নেওয়া আরেক উদ্যোক্তা বলেন, “এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। সম্মেলনে এসে আমরা জানতে পেরেছি কীভাবে ভালো গুড় উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ভোক্তাদের কাছে বাজারজাতকরণ করা যায়। এই সম্মলনের মাধ্যমে আমরা যতটা সচেতন হব, ঠিক ততটাই উপকৃত হবে ভোক্তারা।”

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. ইয়ামিন হোসেন বলেন, “আমরা যে গুড় খেয়ে থাকি সেখানে কোনো ক্যামিকাল থাকে না কিন্তু আমরা যে চিনি খাই সেটা অনেক প্রকার ক্যামিকাল দিয়ে তৈরি। গরম চায়ে আমরা যখন চিনি ব্যবহার করছি, তখন আরো প্রায় ২৭ প্রকার ক্যামিক্যাল উৎপন্ন হচ্ছে, যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অন্যদিকে গুড়ের ব্যবহারে এমন কোনো ক্ষতি নেই। এটা অর্গানিক এবং স্বাস্থ্যসম্মত। গুড়ের ব্যবহারের প্রচলন আমাদের বাড়াতে হবে।”

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসআরআই-এর মহাপরিচালক ড. কবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, “হোয়াইট সুগার এবং লবণ এগুলো হচ্ছে হোয়াইট পয়জন। হোয়াইট সুগার বাদ দিয়ে গুড় অথবা ব্রাউন সুগার বেছে নেওয়া উচিত। গুড় শরীরকে ঠান্ডা রাখে। আমরা চা, শরবত অথবা মিষ্টিজাতীয় খাবারে গুড় ব্যবহার করতে পারি।”

উদোক্ত্যাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটা বিরাট অংশজুড়ে আছেন। চাকরিপ্রত্যাশীদের চাকরির পেছনে না দৌড়ে উদোক্ত্যা হওয়া উচিত। এতে একাধারে যেমন সে নিজে সাবলম্বী হতে পারবে, পাশাপাশি আরো দশজন বেকার সাবলম্বী হবে।”

ঢাকা/ফাহিম/রাসেল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ