দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে রয়েছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি। তবে এবার বড় পর্দায় ফিরছেন তিনি। আগামী ১৭ অক্টোবর সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা ‘ডাইরেক্ট অ্যাটাক’। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেমার পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী।
এ পরিচালক বলেন, “বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ ঠিক করেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছিল। তবে এবারের সিদ্ধান্ত একেবারেই চূড়ান্ত। আর পপির অপেক্ষা করতে চাই না। তাই সিনেমাটির মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
আরো পড়ুন:
বিজয়ের বাড়িতে বোমা আতঙ্ক
পদদলিত হয়ে মৃত্যু: বিজয়কে চড়া মূল্য দিতে হবে?
এর আগে বেশ কয়েকবার মুক্তির ঘোষণা আসলেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে যায়। পরিচালক জানিয়েছেন, আড়ালে থাকা পপিকে নিয়েই প্রচার-প্রচারণা করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু নায়িকার সঙ্গে এখন আর তার কোনো যোগাযোগ নেই।
পপির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, সিনেমা জগতে ফেরার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই পপির। যোগাযোগ নেই চলচ্চিত্রের কারো সঙ্গেই। বরং প্রযোজনায় আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি, যদিও তা সময়সাপেক্ষ। বর্তমানে তিনি স্বামী-সন্তান ও সংসার নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
‘ডাইরেক্ট অ্যাটাক’ নির্মিত হয়েছে সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের গল্প নিয়ে। এতে একজন পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে দেখা যাবে পপিকে। তার সহশিল্পী আমিন খান। এছাড়াও অভিনয় করেছেন মামনুন হাসান ইমন, আনিক রহমান অভি, শিরিন শিলা প্রমুখ। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে আনন্দবাজার মাল্টিমিডিয়া।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এফডিসিতে আইটেম গান দিয়ে শুরু হয় সিনেমাটির শুটিং। দুই বছরের বিরতির পর এই সিনেমার মাধ্যমে নতুন করে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান পপি। তবে শুটিং শেষে পুরোপুরি আড়ালে চলে যান তিনি।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল পপি অভিনীত ‘দি ডিরেক্টর’। এরপর তার কোনো নতুন সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে আসেনি। বর্তমানে পপির কারণে আটকে আছে রাজু আলীম পরিচালিত ‘ভালোবাসার প্রজাপ্রতি’ এবং আরিফুর জামান আরিফ পরিচালিত ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ সিনেমার কাজ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।