রাজধানীর মিরপুরের পূর্ব কাজীপাড়া এলাকায় আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে আলিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, আলিফ পরিবহনের বাসটি পূর্ব কাজীপাড়ায় পৌঁছালে একদল ব্যক্তি হাতের ইশারায় সেটি থামায়। এ সময় তারা বাসটিতে উঠে চালক ও তাঁর সহকারীকে পিটিয়ে নামিয়ে দেন। যাত্রীরাও বাস থেকে দ্রুত নেমে যান।
এ সময় দুর্বৃত্তরা বাসের সামনের কাচে একাধিক গুলি ছুড়ে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা রাশেদ বিন খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে মিরপুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে পৌনে আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসটি পুড়ে গেছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, বাস কোম্পানির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ওই পরিবহনের কিছু কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তাঁদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। কাউকে আটক করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল প্রচারপত্র তৈরি করলেন এক প্রার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল প্রচারপত্র (লিফলেট) তৈরি করেছেন হল সংসদের এক প্রার্থী। ওই প্রার্থীর নাম শেখ সাদিয়া সিদ্দিকা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল সংসদের ভিপি (সহসভাপতি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই পদে তিনি ছাড়াও আরও দুই প্রার্থী রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শামসুন্নাহার হলে চারজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছাত্রী রয়েছেন। তাঁদের জন্যই ব্রেইল পদ্ধতিতে নিজের নাম ও ব্যালট নম্বরের লিফলেট করেছেন সাদিয়া। এর মধ্যে একজনের হাতে প্রচারপত্র তুলে দিয়েছেন। বাকি তিন ছাত্রী পূজার ছুটিতে বাড়িতে থাকায় তাঁদের হাতে এখনো প্রচারপত্র পৌঁছে দিতে পারেননি।
জানতে চাইলে শেখ সাদিয়া সিদ্দিকা প্রথম আলোকে বলেন, তিনি চট্টগ্রামে ব্রেইল প্রচারপত্র ছাপানোর মতো প্রেস পাননি। তাই তিনি ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিজ উদ্যোগে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল প্রচারপত্র তৈরি করেন। সাদিয়া বলেন, ‘এটি করার মাধ্যমে আমি প্রশাসনকে একটি বার্তা দিতে চেয়েছি। প্রশাসন যেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।’
উল্লেখ্য, ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। এ নির্বাচনে প্রার্থী রয়েছেন ৯০৭ জন। এর মধ্যে চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে ৪১৫ জন এবং হল সংসদে ৪৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ২৭ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৮৪ জন ও ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা কীভাবে ভোট দেবেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে বর্তমানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছেন ৮৬ জন। তবে এ শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যালট পেপার ছাপানো হবে কি না, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।
কমিশন জানায়, ভোট দেওয়ার সময় একজন প্রতিনিধি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকতে পারবেন। তাঁরা ওই শিক্ষার্থীকে ব্যালটে থাকা নাম ও নম্বর পড়ে শোনাবেন। পরে শিক্ষার্থীর অনুমতিক্রমে ভোট দেবেন। তবে কমিশনের এ প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন অনেক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী। তাঁরা বলছেন, ওই প্রতিনিধি নিজের মতাদর্শ অনুযায়ী ভোট দিয়ে দিতে পারেন।
দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল প্রচারপত্র বানালেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের ভিপি প্রার্থী