মানিকগঞ্জে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)। পাশাপাশি তীব্র নিন্দাও জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।

আজ সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ ধরনের ঘটনায় দ্রুত, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

গণমাধ্যমের খবরের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল মানিকগঞ্জ জেলা স্টেডিয়াম এলাকায় বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি পালন করছিলেন তাঁর ভক্ত ও অনুসারীরা। একই সময়ে ‘মানিকগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতা’ ব্যানারে পাল্টা কর্মসূচি থেকে তাঁদের (আবুল সরকারের অনুসারী) ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এমনকি প্রাণ বাঁচাতে বাউল অনুরাগীদের অনেকেই স্টেডিয়াম–সংলগ্ন ডোবায় ঝাঁপ দিতে বাধ্য হন।

দেশের যেকোনো সাংস্কৃতিক চর্চা, শিল্পী ও শিল্প অনুরাগীদের নিরাপত্তা রক্ষা করা রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অথচ বাউলদের ওপর এ হামলা কেবল ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ওপর আঘাত নয়; বরং দেশের সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপরও হুমকি, যা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মব সহিংসতার শামিল।’

এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজার ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনায়ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এইচআরএসএস। বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ‘এসব নৈরাজ্য ও উগ্রতা দিন দিন রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়কেই মারাত্মক ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তা ছাড়া প্রশাসনের নীরবতা ও দৃশ্যমান পদক্ষেপের অভাব দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরও ইঙ্গিত দিচ্ছে।’

বিবৃতিতে দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করে সাম্প্রদায়িক উসকানি বা সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতেও আহ্বান জানানো হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

বাউলশিল্পী আবুল সরকারের ভক্তদের ওপর হামলা: দোষীদের বিচার দাবি এইচআরএসএসের

মানিকগঞ্জে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)। পাশাপাশি তীব্র নিন্দাও জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।

আজ সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ ধরনের ঘটনায় দ্রুত, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

গণমাধ্যমের খবরের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল মানিকগঞ্জ জেলা স্টেডিয়াম এলাকায় বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি পালন করছিলেন তাঁর ভক্ত ও অনুসারীরা। একই সময়ে ‘মানিকগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতা’ ব্যানারে পাল্টা কর্মসূচি থেকে তাঁদের (আবুল সরকারের অনুসারী) ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এমনকি প্রাণ বাঁচাতে বাউল অনুরাগীদের অনেকেই স্টেডিয়াম–সংলগ্ন ডোবায় ঝাঁপ দিতে বাধ্য হন।

দেশের যেকোনো সাংস্কৃতিক চর্চা, শিল্পী ও শিল্প অনুরাগীদের নিরাপত্তা রক্ষা করা রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অথচ বাউলদের ওপর এ হামলা কেবল ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ওপর আঘাত নয়; বরং দেশের সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপরও হুমকি, যা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মব সহিংসতার শামিল।’

এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজার ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনায়ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এইচআরএসএস। বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ‘এসব নৈরাজ্য ও উগ্রতা দিন দিন রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়কেই মারাত্মক ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তা ছাড়া প্রশাসনের নীরবতা ও দৃশ্যমান পদক্ষেপের অভাব দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরও ইঙ্গিত দিচ্ছে।’

বিবৃতিতে দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করে সাম্প্রদায়িক উসকানি বা সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতেও আহ্বান জানানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ