গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের শিমুলতলী গ্রামে অবস্থিত গার্ডেনিয়া ওয়ার্স লিমিটেড কারখানায় আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। 

শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে নিয়মিত কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা ফটকে তালা ঝুলতে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভে নামেন।

শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়নি। এর আগেও গত ২৯ সেপ্টেম্বর একই দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল। সে সময় মালিকপক্ষ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এক মাসের বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। 

শনিবার সকালে কারখানা চালু হওয়ার কথা থাকলেও গেটের সামনে তালা ও নোটিশ ঝুলতে দেখে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। 

নোটিশে জানানো হয়, আগামী ৭ অক্টোবর বেতন প্রদান করা হবে এবং ৮ অক্টোবর থেকে কারখানা পুনরায় চালু করা হবে।

শ্রমিক প্রতিনিধি শামীম অভিযোগ করে বলেন, “প্রথমে আমাদের ১৮ সেপ্টেম্বর বেতন দেওয়ার কথা ছিল। পরে ১ অক্টোবর নতুন তারিখ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করা হয়নি। আজ সকালে হঠাৎ কারখানা বন্ধ দেখে আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে বসেছি।”

এসময় খবর পেয়ে শ্রীপুর শিল্প পুলিশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ওসি আবদুল লতিফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং আশ্বাস দেন যে রবিবার (৫ অক্টোবর) থেকে কারখানা চালু করা হবে। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এর মধ্যে সব বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে বলেও তিনি শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন।

ঢাকা/রফিক/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, অভিযোগ ছাত্রদল নেতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একজন রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর চাচাতো ভাই ও স্বজনদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তাঁকে মারধরের ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. খোকন মিয়ার (৪০) বাড়ি উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের করমা গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, করমা গ্রামের কছিম উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন নামের দুই ভাই ছিলেন। ৬-৭ বছর আগে গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যুর পর জমি নিয়ে কছিম উদ্দিনের সঙ্গে গিয়াস উদ্দিনের ছেলেদের বিরোধ শুরু হয়। বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় থানায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলাও হয়। স্থানীয়ভাবে দুই পরিবারের বিরোধ মেটাতে কয়েক দফা উদ্যোগ নেওয়া হলে তা মানেননি কেউ।

স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিকশা রেখে ঘর থেকে বের হন খোকন মিয়া। এ সময় গিয়াস উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় মগটুলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও তাঁর ভাই এবং পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দেন। এ সময় তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মাথায় আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন।

রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম

সম্পর্কিত নিবন্ধ