বৃষ্টি উপেক্ষা করে কলকাতায় জমজমাট ‘দুর্গাপূজা কার্নিভ্যাল’
Published: 5th, October 2025 GMT
কলকাতার ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজাকে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ইউনেসকো ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পূজার আয়োজনকে আরও আকর্ষণীয় করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৬ সাল থেকে দুর্গাপূজা শেষে কলকাতা ও শহরতলির সেরা প্যান্ডেল ও প্রতিমাগুলোকে নিয়ে বর্ণাঢ্য কার্নিভ্যালের আয়োজন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও কলকাতার রেড রোডে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য কার্নিভ্যাল। রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় এ কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কার্নিভ্যালে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই বছরের কার্নিভ্যালে অংশ নিয়েছে শ্রীভূমি স্টেটিং ক্লাব, সন্তোষ মিত্র স্কয়ার, কলেজ স্কয়ার, কুমারটুলী পার্ক, আহিরীটোলা সর্বজনীন, দেশপ্রিয় পার্ক, সুরুচি সংঘ, যোধপুর পার্ক, হাতিবাগান সর্বজনীন, সিংহী পার্ক, শিয়ারদহ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন, বাগবাজার সর্বজনীন, শোভাবাজার রাজবাড়ি, সিকদার বাগান দুর্গোৎসব, নাকতলা উদয়ন সংঘ, বোসপুকুর শতিলা মন্দির, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ, মহম্মদ আলি পার্ক সর্বজনীন, শিবমন্দির পূজা কমিটি, দমদম পার্ক তরুণ সংঘ, মানিকতলা চালতাবাগান সর্বজনীন, চেতলা অগ্রণী ক্লাবসহ মোট ১১৬টি পূজা কমিটি।
কার্নিভ্যালে কলকাতার বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিদেশি দূতাবাসের কূটনীতিক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন। ইউনেসকো ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, নেপাল, চীন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও ভুটানের কূটনীতিকেরা এদিন উপস্থিত ছিলেন।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই বছরের কার্নিভ্যালে অংশ নেন নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। ৫ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কলক ত
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে সামুদ্রিক খাবার নিয়ে জমজমাট উৎসব
ইলিশ, কোরাল, চিংড়ি, লবস্টারসহ সামুদ্রিক মাছ দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের খাবার থরে থরে সাজানো রয়েছে টেবিলে। ভোজনরসিক পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা এসে ঘুরে ঘুরে দেখছেন এসব খাবার। মুখে নিয়ে এর স্বাদও উপভোগ করছেন। গতকাল শুক্রবার দিনভর এমনই দৃশ্য দেখা গেছে কক্সবাজারের হোটেল রামাদায় আয়োজিত সি-ফুড ফেস্টিভ্যালে।
গতকাল সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে এই উৎসব। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় উৎসবের আয়োজন করে এমবোলডেন বাংলাদেশ, নেক্সট শিখন ও হোটেল রামাদা কর্তৃপক্ষ।
উৎসবে গিয়ে দেখা যায়, ১৬টি স্টলে খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ইলিশ, কোরাল, চিংড়ি, কাঁকড়া, লবস্টার, স্কুইডসহ নানান সামুদ্রিক মাছ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এসব খাবার। উৎসবে ইলিশের আচার, সামুদ্রিক মাছের পিঠা, শৈবাল দিয়ে তৈরি করা স্যুপ-পুডিংয়ের স্বাদ নিতে দেখা যায় কয়েকজনকে।
একটি স্টলে হরেক পদের সামুদ্রিক খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। গতকাল বিকেলে তোলা