কাঠগড়ায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। লোহার রেলিং ধরে চুপচাপ বিষণ্ন মুখে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। তাঁর বাঁ পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। চোখেমুখে চিন্তার ছাপ।

মেননের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। তিনিও কাঠগড়ার লোহার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে। তাঁর বাঁ পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এ সময় বনানী থানার একটি হত্যা মামলায় মেনন, দস্তগীর, পলক ও আতিকুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে থাকেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটার শামসুদ্দোহা।

শামসুদ্দোহা বলেন, ‘মাননীয় আদালত, কাঠগড়ায় দাঁড়ানো রাশেদ খান মেনন, আতিকুল ইসলাম, গোলাম দস্তগীর গাজী ও জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী। গত বছরের ১৯ জুলাই বনানীর মহাখালীর উড়ালসড়কের কাছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শাহজাহানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই আসমিরা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত। তাঁরা হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত।’

শামসুদ্দোহা বলেন, আন্দোলন চলাকালে নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্র–জনতাকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কেবল বনানী নয়, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, উত্তরাসহ সারা দেশে দুই হাজারের বেশি ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন হাজার হাজার মানুষ।

আদালত ভবনে হাতকড়া, হেলমেট ও বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে আনা হয় গোলাম দস্তগীর গাজী, রাশেদ খান মেনন, জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক ও আতিকুল ইসলামকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ম নন

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় মেঘনা তেল ডিপোতে চালক ও শ্রমিকদের কর্মবিরতি পালন

ফতুল্লার সরকারি মেঘনা তেল ডিপোতে চালক ও শ্রমিকদের বিক্ষোভ করে কর্ম বিরতি পালন করছে। ফলে সকাল নয়টা  থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত তেল উত্তোলন ও পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

বুধবার সকাল ৯ টার দিকে ডিপোর প্রধান ফটকের সামনে শতাধিক চালক ও শ্রমিক অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন  সহকারী কমিশনার (ভূমী) ফতুল্লা সার্কেল মোঃ আসাদুজ্জামান নুর  ও ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আনোয়ার হোসেন। পরে দুপুর ১২ টার দিকে মেঘনা তেল ডিপোর কতৃপক্ষ,  মেঘনা ডিপো চালক শ্রমিক ইউনিয়ন  ফতুল্লা শাখার নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রি পাক্ষিক আলোচনা করে সমোঝতা হয়। পরে ডিপোর কার্যক্রম স্বাভাবিক  হয়।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন,মেঘনা ডিপোতে সদ্য যোগদান করা ডিএস  মোঃ জালাল উদ্দিন শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরন সহ জ্বালানী তেল সরবরাহে লিটারে কম দিচ্ছে।পাশাপাশি চালকেরা অভিযোগ করেন, তেল লোড ও আনলোড করার সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় তারা প্রায়ই দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে কাজ করেন।

চালক-শ্রমিকদের আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে মেঘনা তেল ডিপোর ডি,এস মোঃ জালাল উদ্দিন জানায়,তিনি কারো সাথে খারাপ আচরন করেন নি। সকলের  সাথে তার সু সম্পর্ক রয়েছে। জ্বালানী তেল কম দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি দ্ধায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ কাজটি করতে দেওয়া হচ্ছেনা।

বরং চালক-শ্রমিকরা কিছু ইনভয়েজ করা লিটারের চাইতে কিছু তেল ট্যাংকে রেখে যাওয়ার আপত্তি করে বা রেখে যেতে চায়। পরে জ্বালানী তেল পেট্রোল পাম্পে দিয়ে এসে ট্যাংকে রেখে যাওয়া জ্বালানী তেল নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে পোষন করে। তিনি এর প্রতিবাদ সহ এ কাজ বন্ধ করে দেয়। আর এ কারনে  আজ (বুধবার) 

ইকবাল চৌধুরী এ রকম আবদার করলে তিনি তা প্রত্যাখান করেন। আর তাতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে চালক -শ্রমিকদের ভুল বুজিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ফেলেন।

অন্যদিকে, মেঘনা ডিপোর চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি বাচ্চু মিয়া জানান, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধান করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমী) ফতুল্লা সার্কেল মোঃ আসাদুজ্জামান নুর জানান, সংবাদ পেয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের হয়ে এখানে এসেছেন। উভয় পক্ষের সাথে  সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ