বায়ুদূষণে আজ বুধবার সকালে বিশ্বের ১২৫টি নগরীর মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১১তম। আজ সকাল আটটার দিকে আইকিউএয়ারের রাজধানী ঢাকার গড় বায়ুমান ১৪৭। এই মান সংবেদনশীল গোষ্ঠী, অর্থাৎ বয়স্ক মানুষ, গর্ভবতী নারী, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তির জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাজধানীর তিন স্থানে আজ বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর।

বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের নগরীগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে আছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ, স্কোর ১৭৩।

বায়ুদূষণে ঢাকার এই অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সেই সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

আজ সকালে বৃষ্টি নেই বটে, তবে আকাশ মেঘলা। কিন্তু গতকাল বুধবার প্রায় ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় রাজধানীতে। বৃষ্টি হলে ঢাকার দূষণের মান কমে যায়। কিন্তু এরপরও দূষণ না কমার কারণ কী?

বায়মণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়নকেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, আগে বৃষ্টি হলে দূষণ কমত। কিন্তু এখন সামান্য কমছে। হয়তো দূষকের চারিত্রিক পরিবর্তন এসেছে। এ বিষয়ে গভীর অনুসন্ধান দরকার। এটা সত্বর করতে হবে।

নগরীর তিন স্থানে দূষণ পরিস্থিতি বেশ খারাপ। এর মধ্যে আছে বেচরাম দেউড়ি, বে’জ এজওয়টার ও গোরান। এসব এলাকার বায়ুর স্কোর যথাক্রমে ১৭৪, ১৭০ ও ১৫৯। এ মান অস্বাস্থ্যকর।

নগরবাসীর জন্য পরামর্শ

আজ ঢাকার যে বায়ুমান, তার পরিপ্রেক্ষিতে নগরবাসীর জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার। এর মধ্যে আছে—ঘরের বাইরে গেলে, বিশেষ করে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর মানুষদের অবশ্যই মাস্ক পরে যেতে হবে, জানালা বন্ধ রাখতে হবে, ঘরের বাইরে ব্যায়াম যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। আর যেসব এলাকায় বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর, সেসব এলাকায় অবশ্যই বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিতভাবে জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে : তরিকুল সুজন 

আজ ৬ অক্টোবর (রবিবার), ১১ টায় সিটি কর্পোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ডে ডনচেম্বার প্রভাতী সংসদ এর ডেঙ্গু প্রতিরোধে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে জনসচেতনতা এবং ডেঙ্গুর লার্ভা ধ্বংসে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।

গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম কোনভাবেই সন্তোষজনক নয়। সিটি কর্পোরেশনের ব্যর্থতায় আজ নারায়ণগঞ্জের ঘরে ঘরে ডেঙ্গু।

সিটি কর্পোরেশন যদি সঠিক সময়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতো তবে নগরবাসী ডেঙ্গুর মহামারী থেকে রক্ষা পেতো। কেবল হট স্পট নির্ধারণ করলে হবে না, নিতে হবে ক্র্যাশ কর্মসূচি। ডেঙ্গু মশার লার্ভা ধ্বংসে নিয়মিত রাসায়নিক কীটনাশক ছিটাতে হবে।

একাধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বাইরে নারায়ণগঞ্জের নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। নাগরিকরাই নগরের সবচেয়ে বড় কর্তৃপক্ষ। নাগরিকরা যদি সচেতন না হয়, দায়িত্বশীল না হয়, বাড়ির আঙ্গিনাসহ আনাচে কানাচে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না রাখে তবে কোন ভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে নগরবাসী রক্ষা পাবে না।

তিনি আরো বলেন, এখনো সময় শেষ হয়ে নি। সিটি কর্পোরেশন যথাযথ পদক্ষেপ নিলে এখনো ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। দরকার সবগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক চেষ্টা এবং কার্যকর উদ্যোগ।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন  ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে অবশ্যই সমন্বিতভাবে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সামাজিক, রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠনকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। এখনই যদি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা না যায় তবে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

জনসচেতনতা কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন, ক্রীড়া সংগঠক আলমগীর হোসেন আলম, সমাজ সেবক শাহীন আউয়াল, সমাজ সেবক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, প্রভাতী সংসদের সংগঠকের কবির হোসেন, সেলিম আহমেদ, আরিফুল হাসান, সাওম সাফাতুল, সাকিব হাসান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বায়ুদূষণে ঢাকা আজ বিশ্বে সপ্তম, ৩ এলাকার বায়ু বেশি খারাপ
  • ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিতভাবে জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে : তরিকুল সুজন