আপনি কি কোনো ঘটনা বা ব্যক্তিতে ভুলে যেতে চান? জেনে নিন ৬টি মনস্তাত্ত্বিক কৌশল
Published: 27th, November 2025 GMT
১. কল্পনার দরজার সামনে দাঁড়ান
চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন, আপনি পৃথবীর একেবারে শেষ প্রান্তে একটা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছেন। সেই দরজার বাইরে ওই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে বা দরজার ওপাশে ঘটনাটি ঘটেছে। আপনি এবার কল্পনায় ওই দরজা বন্ধ করে দিন ও নিজের পৃথিবীতে মনোনিবেশ করুন।
এই কৌশল আমাদের মস্তিষ্কে এই বার্তা দেয় যে আপনার বর্তমান পৃথিবীতে ওই ব্যক্তি বা ঘটনাটি আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফলে মস্তিষ্ক ওই স্মৃতি ধরে রাখার ওপর গুরুত্ব দেয় না। আপনিও তাই ওই ব্যক্তি বা ঘটনা ধীরে ধীরে ভুলতে শুরু করেন।
২.স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলুন
ওই ব্যক্তি বা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত জিনিস; যেমন ছবি, ভিডিও, টেক্সট বা গান—সব ডিলিট করে দিন। সামাজিক মাধ্যমে ভুলেও তাকে স্টক করবেন না। ওই ব্যক্তির কোনো কিছুই যেন আপনার চোখের সামনে না পড়ে, সেই ব্যবস্থা করুন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে যেখানে যেখানে ঘুরতে গেছেন, আপাতত সেসব জায়গায় যাওয়ার দরকার নেই।
সাময়িক বিরতি নিন। পরে সেসব জায়গায় গিয়ে নতুন স্মৃতি তৈরি করুন, যাতে ওই স্থানের পুরোনো স্মৃতি চাপা পড়ে যায়। তার দেওয়া উপহার কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন, এর ফলে তাকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কম মনে পড়ছে।
৩. জার্নালিং থেরাপিযে মানুষ বা ঘটনা থেকে আপনি মুক্তি পেতে চাইছেন, তা একটা ডায়েরিতে গুছিয়ে বিস্তারিত লিখে ফেলুন। এতে আপনার মস্তিষ্ক থেকে ঘটনা বা স্মৃতিটি কাগজের পাতায় স্থানান্তরিত হলো। লেখা শেষে পৃষ্ঠাগুলো ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলুন, আগুনে পুড়িয়ে ফেলুন বা টয়লেটে ফ্ল্যাশ করুন।
এতে আপনি অনেকটাই হালকা হবেন। মন হালকা করতে বন্ধু, আপনজন বা পেশাদার কারও সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারেন।
যে মানুষ বা ঘটনা থেকে আপনি মুক্তি পেতে চাইছেন, তা একটা ডায়েরিতে গুছিয়ে বিস্তারিত লিখে ফেলুন, এতে আপনার মস্তিষ্ক থেকে ঘটনা বা স্মৃতিটি কাগজের পাতায় স্থানান্তরিত হলোউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সৎপুত্র নাগা চৈতন্যকে নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী অমলা
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা নাগা চৈতন্য। অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন সামান্থা রুথ প্রভুর এই প্রাক্তন স্বামী। নাগার আরেক পরিচয় তিনি নাগার্জুনা আক্কিনেনির বড় ছেলে ও অভিনেত্রী অমলা আক্কিনেনির সৎপুত্র। অমলা সৎমা হলেও নাগা চৈতন্যর সঙ্গে তার দারুণ সম্পর্ক। এনটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছেন অমলা।
নাগা চৈতন্য প্রসঙ্গে অমলা আক্কিনেনি এনটিভি-কে বলেন, “চৈতন্যর সঙ্গে যখন আমার পরিচয় হয়, তখন সে তরুণ। কারণ তার মা চেন্নাইয়ে থাকতেন; সে সেখানেই বড় হয়েছে। কলেজের জন্য সে হায়দরাবাদে এসেছিল। অবশ্যই আমি তার সঙ্গে যোগাযোগে রেখেছিলাম। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাকে জানতে পারি, যখন সে হায়দরাবাদে চলে আসে। চৈতন্য দারুণ একজন মানুষ। বয়সের তুলনায় সে অনেক বেশি পরিণত ও প্রজ্ঞাবান। খুবই দায়িত্বশীল। সে এমন একজন, যে কখনো ভুল করেনি এবং সবসময় বাবার কথা শুনেছে। তাই তার নিজের পরিকল্পনা ও ভাবনা সবসময়ই ছিল।”
আরো পড়ুন:
বারাণসী: বাজেট ১৮০৩ কোটি টাকা, কে কত পারিশ্রমিক নিলেন?
অভিনয় ছেড়ে ধর্মে মনোযোগী অভিনেত্রী
নাগা চৈতন্য সৎ ছেলে হলেও অমলার নিজের পুত্র অভিনেতা আখিল। তার বিষয়ে অমলা বলেন, “আখিল অবশ্যই আমার ছেলে, তার ওপর আমার অনেক প্রভাব আছে। আমরা আমাদের ছেলেদের খুব স্বাধীনভাবে বড় করেছি। ছোটবেলা থেকেই আমরা তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে শিখিয়েছি। দ্বিধাগ্রস্ত না হয়ে, সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে শিখিয়েছি। আমাদের উৎসাহে তারা নিজেদের সাফল্য ও ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে সক্ষম হয়েছে। তারা সুন্দরভাবে বড় হয়েছে। তারা শুধু পরিবারের নয়, দর্শকদের ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছে। ভালো-খারাপ সময়—দুটো থেকেই তারা শিখেছে।”
বরেণ্য অভিনেতা নাগার্জুনা আক্কিনেনি ১৯৮৪ সালে পরিচালক-প্রযোজক রামা নাইডুর কন্যা লক্ষ্মী দাগ্গুবতীকে বিয়ে করেন। এ দম্পতির একমাত্র সন্তান নাগা চৈতন্য। ১৯৮৬ সালের ২৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অভিনেতা ভেঙ্কটেশ ও সুরেশ বাবু লক্ষ্মীর সহোদর ভাই। অর্থাৎ নাগা চৈতন্যর মামা। ১৯৯০ সালে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে নাগার্জুনা-লক্ষ্মীর।
১৯৯২ সালের ১১ জুন ভারতীয় অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী অমলাকে বিয়ে করেন নাগার্জুনা আক্কিনেনি। এ দম্পতির একমাত্র সন্তান আখিল আক্কিনেনি। ১৯৯৪ সালের ৮ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন আখিল। বাবা-মা-ভাইয়ের পথ অনুসরণ করে আখিলও অভিনয়ে পা রেখেছেন। যদিও বাবা-ভাইয়ের মতো এখনো অতটা খ্যাতি কুড়াতে পারেননি।
বাবার চাকরির সূত্রে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করেছেন অমলা। কলকাতায় তার জন্ম, তবে বেড়ে উঠেছেন মাদ্রাজে। ব্যাচেলর অব ফাইন আর্টসে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন অমলা। ১৯৮৬ সালে তামিল ভাষার ‘মিথিলি এন্নাই কাখালি’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন। অভিষেক চলচ্চিত্রে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতে নেন অমলা। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন ভাষার সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করেন। ৩১ বছর পর ২০২২ সালে তামিল-তেলেগু ভাষার ‘কানাম’ সিনেমায় সর্বশেষ অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত