ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১০ জনের মৃত্যু
Published: 26th, November 2025 GMT
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরো কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দেশটির এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর আলজাজিরার।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) জানায়, সোমবার থেকে উত্তর সুমাত্রা প্রদেশে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে নদীগুলো উপচে পড়েছে। যার ফলে ছয়টি এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
জাতীয় পুলিশ বুধবার জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, মারাত্মক ঢাল ও অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধারকারী দল বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় শহর সিবোলগায় পাঁচজনের মরদেহ এবং তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এই এলাকায় অন্তত চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।
পার্শ্ববর্তী সেন্ট্রাল তাপানুলি শহরে ভূমিধসে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে, একই পরিবারের কমপক্ষে চারজন সদস্য নিহত হয়েছেন। শহরটিতে বন্যায় প্রায় দুই হাজার বাড়ি ও সরকারি ভবন ডুবে গেছে।
বন্যা এবং গাছ ভেঙে পড়ায় দক্ষিণ তাপানুলিতে একজন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে এবং অন্য একজন আহত হয়েছেন।
মান্ডাইলিং নাটাল জেলায় একটি সেতু ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ও ৪৭০টি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
নিয়াস দ্বীপে, উদ্ধারকারীরা জানান, ভূমিধসের কারণে বেশ কয়েকটি গ্রামের সঙ্গে সংযোগকারী প্রধান সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত চলা বর্ষা মৌসুমে সাধারণত প্রবল বৃষ্টিপাত হয়, যা ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা এবং পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
চলতি মাসেই মধ্য জাভায় আরেকটি ভয়াবহ ভূমিধসে কমপক্ষে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৩ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম নগরের বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির নাম ফরিদ আহমেদ (৩৯)। আজ সোমবার দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ফরিদ নগরের বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা। ১৫ নভেম্বর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। ডেঙ্গুর পাশাপাশি তাঁর শ্বাসকষ্ট ও কিডনি জটিলতাও ছিল। এ নিয়ে চট্টগ্রামে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫–এ। এর আগে গত শনিবার একই হাসপাতালে নাহিদা আক্তার (২৭) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৯ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ৪ জন শিশু ও ৫ জন নারী। এ নিয়ে পুরো বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৩৬০। নভেম্বরে ২৪ দিনে আক্রান্ত ৮৫৫ জন। এ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন।