ঠাকুরগাঁওয়ে বাউলদের মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে হামলা, আহত ২
Published: 26th, November 2025 GMT
মানিকগঞ্জে বাউলদের ওপর হামলার বিচার ও বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে শহরের আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
‘তৌহিদী জনতার’ ব্যানারে একদল যুবক এই হামলা চালান বলে অভিযোগ। হামলাকারীদের মারধরে দুজন বাউলশিল্পী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে ‘সম্প্রীতির ঐক্য, ঠাকুরগাঁও’ ব্যানারে শহরের চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধন আহ্বান করেন বাউলশিল্পীরা। কিন্তু মানববন্ধন শুরুর আগে বেলা দেড়টার দিকে আদালত চত্বর এলাকায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি শামসুল চিশতি ও ঠাকুরগাঁও পৌরসভার হঠাৎপাড়ার মোকলেস পাগলা নামে দুজন বাউলশিল্পীকে পেয়ে তৌহিদী জনতার ব্যানারে ৪০ থেকে ৫০ জনের একদল যুবক তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সারোয়ার আলম খান বলেন, বাউলশিল্পীদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ কারণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু মানববন্ধনের আগে কোর্ট চত্বর এলাকায় বাউলদের ওপর হামলা চালান একদল যুবক। বাউলশিল্পীদের লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠাকুরগাঁও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বলেন, কর্মসূচি পালনের জন্য বাউলশিল্পীরা আদালত চত্বরে জড়ো হচ্ছিলেন। এ সময় একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ মিছিল নিয়ে এসে বাউলশিল্পীদের ওপর হামলা চালান। প্রত্যেক মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। কিন্তু বাউলশিল্পীদের মারপিটের ঘটনা দুঃখজনক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব উলশ ল প দ র ঠ ক রগ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি চাকরির নিয়োগে অস্থিরতা: চার মাসে চাকরিপ্রত্যাশীদের যত আন্দোলন
বাংলাদেশে সরকারি চাকরি পাওয়া যেন যুদ্ধজয়ের সমান। আর চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলন এখন নিত্যদিনের দৃশ্য। স্মারকলিপি, অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন, অনশন থেকে শুরু করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ—দাবি আদায়ে কর্মসূচির ধরনও বহুবিধ। চলতি বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি চাকরির নিয়োগ নিয়ে নানামুখী আন্দোলন হয়েছে। এর মধ্যে কিছু সমাপ্ত হলেও অনেক আন্দোলন এখনো চলমান বা সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।
৪৩তম বিসিএস: নন-ক্যাডার প্রার্থীদের অনশননন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা ২০২৩ অনুযায়ী, ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ জটিলতা এবং কমসংখ্যক সুপারিশের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন নন-ক্যাডার প্রার্থীরা। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে তাঁরা ‘বিসিএস চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে প্রায় ১০ দিন অনশন চালান। এর আগে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন তারা। দীর্ঘ আন্দোলনেও সমাধান না মেলায়, এখন আদালতের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রার্থীরা।
আজ রোববারের মধ্যে ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল–সংক্রান্ত ফাইল জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের দাবিতে মানববন্ধন করেন ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশ পাওয়া ক্যাডাররা