ছাত্রাবাস থেকে নিখোঁজ ম্রো শিক্ষার্থী, আড়াই মাস ধরে খুঁজে ফিরছেন বাবা
Published: 26th, November 2025 GMT
নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে রেংনয়া ম্রোর সন্ধানে পাগলপ্রায় বাবা সিংপাস ম্রো। আড়াই মাস ধরে ছেলেকে খুঁজছেন তিনি। দুর্গম পাহাড়ি গ্রাম থেকে বান্দরবান শহরে পড়তে গিয়েছিল ছেলে। সেখানে জেলা প্রশাসনের পরিচালনাধীন কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের (বিসিএসসি) ছাত্রাবাসে থাকত সে। দুর্গাপূজার ছুটিতে লামার সরইয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু বাড়ি যায়নি। এর পর থেকে ছেলের কোনো খোঁজও পাননি সিংপাস ম্রো। ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষও নিখোঁজ ছাত্রের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি তাঁকে।
জেলা শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কলেজের প্রাঙ্গণে ছাত্রাবাস। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, সদর থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ঠিক মাঝখানের ছাত্রাবাসটির অবস্থান। সেখান থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রেংনয়া ম্রো নিখোঁজ হয়। কিন্তু কোথায় গেছে ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষের জানা নেই। ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক আসাদ উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, নিখোঁজের সময়ে তিনি ছুটিতে ছিলেন। সেই সময়ে দায়িত্বে থাকা সুনীল ত্রিপুরা জানিয়েছেন, ছাত্রাবাসে হাজিরা খাতা না থাকায় রেংনয়া ম্রোর নিখোঁজ হওয়ার সঠিক তারিখ বলা যাচ্ছে না।
নিখোঁজ রেংনয়া ম্রোর বাবা সিংপাস ম্রো জেলা প্রশাসকের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, তাঁর ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় ছাত্রাবাস তত্ত্বাবধায়ক, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ দায়ী। তিনি বলেছেন, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্গাপূজার ছুটি। কিন্তু ছেলে বাড়িতে যায়নি। ছেলে কোথায় জানতে চাইলেও ছাত্রাবাসের কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেনি। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় সে নিখোঁজ। ২৭ সেপ্টেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর তদন্তে ছেলে রেংনয়াকে সিসিটিভি ক্যামেরায় সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর দেখা গেছে। সেই হিসেবে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজার ছুটি শুরু পর্যন্ত প্রায় ১৪ দিন ছাত্রাবাসে রেংনয়া ছিল না। কিন্তু বিসিএসসি ও ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষ কোনো খোঁজখবর নেয়নি। তাঁরা কেউ রেংনয়া ছাত্রাবাসে না থাকার বিষয়টি জানেন না অথবা না জানার ভান করছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মান্না দে জানিয়েছেন, রেংনয়া ম্রোর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে সে তার পূর্বপরিচিত কারও সঙ্গে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে রয়েছে।
কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স প ট ম বর
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রাবাস থেকে নিখোঁজ ম্রো শিক্ষার্থী, আড়াই মাস ধরে খুঁজে ফিরছেন বাবা
নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে রেংনয়া ম্রোর সন্ধানে পাগলপ্রায় বাবা সিংপাস ম্রো। আড়াই মাস ধরে ছেলেকে খুঁজছেন তিনি। দুর্গম পাহাড়ি গ্রাম থেকে বান্দরবান শহরে পড়তে গিয়েছিল ছেলে। সেখানে জেলা প্রশাসনের পরিচালনাধীন কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের (বিসিএসসি) ছাত্রাবাসে থাকত সে। দুর্গাপূজার ছুটিতে লামার সরইয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু বাড়ি যায়নি। এর পর থেকে ছেলের কোনো খোঁজও পাননি সিংপাস ম্রো। ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষও নিখোঁজ ছাত্রের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি তাঁকে।
জেলা শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কলেজের প্রাঙ্গণে ছাত্রাবাস। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, সদর থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ঠিক মাঝখানের ছাত্রাবাসটির অবস্থান। সেখান থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রেংনয়া ম্রো নিখোঁজ হয়। কিন্তু কোথায় গেছে ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষের জানা নেই। ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক আসাদ উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, নিখোঁজের সময়ে তিনি ছুটিতে ছিলেন। সেই সময়ে দায়িত্বে থাকা সুনীল ত্রিপুরা জানিয়েছেন, ছাত্রাবাসে হাজিরা খাতা না থাকায় রেংনয়া ম্রোর নিখোঁজ হওয়ার সঠিক তারিখ বলা যাচ্ছে না।
নিখোঁজ রেংনয়া ম্রোর বাবা সিংপাস ম্রো জেলা প্রশাসকের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, তাঁর ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় ছাত্রাবাস তত্ত্বাবধায়ক, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ দায়ী। তিনি বলেছেন, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্গাপূজার ছুটি। কিন্তু ছেলে বাড়িতে যায়নি। ছেলে কোথায় জানতে চাইলেও ছাত্রাবাসের কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেনি। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় সে নিখোঁজ। ২৭ সেপ্টেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর তদন্তে ছেলে রেংনয়াকে সিসিটিভি ক্যামেরায় সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর দেখা গেছে। সেই হিসেবে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজার ছুটি শুরু পর্যন্ত প্রায় ১৪ দিন ছাত্রাবাসে রেংনয়া ছিল না। কিন্তু বিসিএসসি ও ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষ কোনো খোঁজখবর নেয়নি। তাঁরা কেউ রেংনয়া ছাত্রাবাসে না থাকার বিষয়টি জানেন না অথবা না জানার ভান করছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মান্না দে জানিয়েছেন, রেংনয়া ম্রোর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে সে তার পূর্বপরিচিত কারও সঙ্গে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে রয়েছে।
কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু তালেব জানিয়েছেন, ছাত্রাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্তদের গাফিলতি রয়েছে। ছাত্রাবাস থেকে নিখোঁজ হওয়ায় প্রশাসন ও পুলিশ সর্বোচ্চ দায়িত্ব নিয়ে খোঁজে বের করার চেষ্টা করছে। সন্ধান পাওয়া গেলে জানা যাবে সে কেন ছাত্রাবাস থেকে কেন বের হয়ে গেছে।