২০২৪ সালের গণ অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের জন্য ভারতকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে সেই চিঠির উত্তর এখনো আসেনি। এ বিষয়ে এত দ্রুত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়ার আশাও করছে না ঢাকা।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

তৌহিদ হোসেন।

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনা, রেহানা, টিউলিপসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রায় ১ ডিসেম্বর

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে দিল্লিকে নতুন চিঠি ঢাকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘কোন প্রক্রিয়ায় ভারতে চিঠি পাঠানো হয়েছে’ জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, “নোট ভারবাল আমাদের মিশনের মাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কোনো উত্তর এখনো আসেনি। এত তাড়াতাড়ি উত্তর আশাও করি না আমরা।”

উপদেষ্টার বক্তব্যের পর এক সাংবাদিক জানতে চান উত্তর এত তাড়াতাড়ি আশা করেন না কেন-জবাবে তিনি বলেন, “এত তাড়াতাড়ি উত্তর…আমি তো আগের চিঠিরই উত্তর পাইনি এখনো। সুতরাং এটা কালকে বা এক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর দিয়ে দেবে, এটা প্রত্যাশা করি না। তবে আমরা আশা করি যে এর উত্তর আমরা পাব। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর এসে যাবে, এটা আমি প্রত্যাশা করি না।”

চিঠিতে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমরা বলেছি, যেহেতু তাকে বিচারে সাব্যস্ত করা হয়েছে কাজেই তাকে যেন ফেরত দেওয়া হয়।”

গত বছর জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে গত ১৭ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপর শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের বিষয়ে গত শুক্রবার দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক পত্র পাঠিয়েছে।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরেও শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানিয়ে ভারতকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ।

নির্বাচনে ভারতীয় পর্যবেক্ষক আসতে চাইলে অনুমতি দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এটা পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এটাতে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। এমনকি আমরা কোনো সহায়তাও করব না, যদি না নির্বাচন কমিশন আমাদের বলে।”

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের বৃহত্তম শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা

জনসংখ্যার কারণে বাংলাদেশের ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী ঢাকার বিশ্বের বৃহত্তম শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এটি বিশ্বের বৃহত্তম শহর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের বিশ্ব নগরায়ন সম্ভাবনা ২০২৫  প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বের ৩৩টি মেগাসিটির মধ্যে ১৯টিই এশিয়ায় অবস্থিত। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা বিশ্বের বৃহত্তম শহর যেখানে চার কোটি ১৯ লাখ মানুষ বাস করে, তার পরেই বাংলাদেশের ঢাকা, যেখানে তিন কোটি ৬৬ লাখ মানুষ বাস করে।

জাপানের রাজধানী টোকিওর জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল- তিন কোটি ৩৪ লাখ মানুষ। তালিকায় টোকিও বাংলাদেশের ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী ঢাকার পরে তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। অপরদিকে ঢাকা নবম থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এটি ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম শহর হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, মেগাসিটির সংখ্যা - যাদের জনসংখ্যা ১ কোটিরও বেশি - ১৯৭৫ সালে মাত্র আটটি ছিল। চলতি বছর তা বেড়ে ৩৩-এ পৌঁছেছে। জাকার্তা, ঢাকা এবং টোকিও ছাড়াও শীর্ষ ১০টিতে থাকা অন্যান্য এশিয়ান শহরগুলি হল: ভারতের নয়াদিল্লি, চীনের সাংহাই ও গুয়াংজু, ফিলিপাইনের ম্যানিলা, ভারতের কলকাতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল।

ঢাকার দ্রুত প্রবৃদ্ধির পেছনে আংশিকভাবে গ্রামীণ এলাকা থেকে মানুষ রাজধানীতে চলে আসা, সুযোগের সন্ধানে যাওয়া অথবা বন্যা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো সমস্যার কারণে নিজ শহর ছেড়ে চলে আসার মতো বিষয়গুলো রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে রাজধানীর জনসংখ্যা পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ