জীবনযাপনের যে সহজ অভ্যাস ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দিতে পারে
Published: 26th, November 2025 GMT
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যার সঙ্গে অন্য অনেক রোগ জড়িত। রোগীর জীবনযাপন পদ্ধতি রোগটি হতে সাহায্য করেছে। এই রোগের চিকিৎসা করতে গেলে জীবনযাপন পদ্ধতিতে আগে পরিবর্তন আনতে হবে।
যে কারণে যাঁর ডায়াবেটিস হয়েছে তাঁর চিকিৎসা করতে গেলে ওটারই সংশোধন করতে হবে। আমি যদি সুনির্দিষ্টভাবে বলি বাংলাদেশের মানুষের ডায়াবেটিস হওয়ার পেছনে যদি ১ নম্বর কারণ আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস।
আমরা প্রচুর কার্বোহাইড্রেট–জাতীয় খাবার খাই। পৃথিবীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট আমরা প্রতিদিন খাচ্ছি। দ্বিতীয় ঝুঁকি হলো আমরা একবারে প্রচুর খেতে পছন্দ করি। একটা সময় এত খেয়ে ফেলি যে খাবার খাওয়ার পর ঝিমাতে বাধ্য হই।
আমাদের যত অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বণ, ঈদ, বিয়েশাদি থেকে শুরু করে শোকের অনুষ্ঠানগুলোয়ও শুধু শর্করা ও মিষ্টির ছড়াছড়ি। আমাদের দৈহিক কাঠামো ছোট, অর্থাৎ আমাদের প্যানক্রিয়াসের কাঠামো ছোট এবং ইনসুলিন তৈরি করার সামর্থ্যও কম।
সেই আমরাই সবচেয়ে বেশি শর্করা খাচ্ছি এবং বিনিময়ে রক্তে গ্লুকোজ বেড়েই চলেছে। আমাদের একবারে বেশি খাওয়া কমাতে হবে, শর্করা খাওয়া কমাতে হবে। আমিষ খাওয়াটা বাড়াতে হবে, শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া বাড়াতে হবে। আমরা অনেক সময় আলুকে শাকসবজি মনে করি। আলু কিন্তু ভাতের চেয়েও শক্তিশালী শর্করা।
আরও পড়ুনডায়াবেটিসকে মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ যে অবদান রেখেছে১৮ ঘণ্টা আগেডায়াবেটিক রোগীর খাদ্যতালিকায় মিষ্টি না রাখাই ভালো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
শিশুর সুস্থতায় শাকসবজি ও আঁশযুক্ত খাবারের গুরুত্ব
আঁশযুক্ত খাবার মূলত অশোষিত শর্করা শ্রেণির। এর বেশির ভাগ আসে উদ্ভিদ থেকে যেমন—দানাদার শস্য, ফলমূল, শাকসবজি। এসব খাবার পরিপাকতন্ত্রে অপাচ্য হিসেবে থাকে। মল হিসেবে নির্গত হওয়ার আগে প্রায় ১০০ শতাংশ ক্ষেত্রে বৃহদন্ত্রে পৌঁছায়। যদিও আঁশজাত খাবার দেহে তেমন পরিমাণে ক্যালরি বিতরণ করে না, তবু যে কারও বিশেষ করে শিশুর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এর ভূমিকা বহুমুখী ও গুরুত্বপূর্ণ।
কেন আঁশযুক্ত খাবার দরকারবৃহদন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়া এসব আঁশযুক্ত খাবারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তৈরি করে প্রোবায়োটিকস, যা অন্ত্রে থাকা উপকারী জীবাণুগুলোকে পুষ্টি জোগায়।
পরিপাকতন্ত্রে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন এবং ক্যানসার তৈরির উপাদান বিনষ্ট করে দেয়।
মলের আয়তন ধরে রাখে। ফলে শিশুর কোষ্ঠবদ্ধতার নিরসন হয়।
আঁশ পাকস্থলী থেকে খাবার অন্ত্রে যাওয়ার সময় বৃদ্ধি করে মানে পরিপাকতন্ত্রের চলনকে ধীর করে এবং এভাবে শিশুর খিদে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
ফলমূল-শাকসবজি খাওয়া হলে শর্করাজাতীয় পানীয় পানের ফলে দেহে হঠাৎ করে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধির ঝুঁকি কম থাকে।
শিশুর দৈনন্দিন খাবারে আঁশযুক্ত ফলমূল, শাকসবজি বা দানাদার খাবার শিশু বয়সে ডায়াবেটিস, মুটিয়ে যাওয়া, রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, কোলন ক্যানসার ও আইবিডির মতো অন্ত্রের রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে উপকারী।
শিশু কতটুকু আঁশ খাবে শিশুর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে আঁশজাত খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ