হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ ম্যাচের এক ঘণ্টা আগেও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, একাদশে নেই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার তপু বর্মণ ও কানাডা প্রবাসী মিডফিল্ডার শমিত সোম। নেই জামাল ভূঁইয়া, ফাহামিদুল ইসলামও।

তপু চোটের কারণে পুরো ফিট নন। শমিত ম্যাচের আগে শুধু একটি অনুশীলন সেশনে ছিলেন। দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারেনি সেভাবে। এ কারণে তাঁকে একাদশে রাখা হয়নি। ওদিকে গোলপোস্টের সামনে ফিরছেন মিতুল মারমা। গত মাসে নেপালে প্রীতি ম্যাচে গোলপোস্টের নিচে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা সুযোগ দিয়েছিলেন সুজন হোসেনকে। এ ছাড়া তারিক কাজী কিছুটা চোটে ভুগলেও একাদশে কোচ তাঁকে রেখেছেন বলে জানা গেছে।

কোচ ক্যাম্পে ডেকেছিলেন ৩০ জনকে। দুই ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সুজন রেজা চোটের কারণে ছিটকে গেছেন আগেই। বাকি ২৮ থেকে আজ ২৩ জনের স্কোয়াড চূড়ান্ত করেন কোচ। বাদ পড়েছেন চোটের কারণে পুরো ফিট না থাকা স্ট্রাইকার আল আমিন, মিডফিল্ডার কাজেম শাহ, ডিফেন্ডার জাহিদ হোসেন, মেহেদী হাসান ও গোলকিপার পাপ্পু হোসেন।

বসুন্ধরা কিংস থেকে কাজেম শাহ এবার ঢাকা আবাহনীতে যোগ দিয়েছেন। মুন্সিগঞ্জে লিগের ম্যাচে তিনি আঘাত পেয়েছিলেন। চোখের নিচে সেলাই নিয়ে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিলেন কাজেম। এক সপ্তাহের বেশি সময় পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন করেও শেষ পর্যন্ত কোচের পছন্দের তালিকায় আসতে পারেননি। ২৮ জনের প্রাথমিক তালিকা তাঁর নাম না থাকা খানিকটা বিস্ময়করই। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে গত ১০ জুন সিঙ্গাপুর ম্যাচে একাদশে ছিলেন কাজেম।  

রাত আটটায় বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ শুরু হচ্ছে জাতীয় স্টেডিয়ামে।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশমিতুল, তারিক কাজী, শাকিল আহাদ তপু, সাদ উদ্দিন, তাজ উদ্দিন, হামজা চৌধুরী, সোহেল রানা  (সিনিয়র), সোহেল রানা ( জুনিয়র) রাকিব, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও শেখ মোরছালিন ।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হামাস–ইসরায়েলের সংলাপকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংলাপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে কূটনীতি এবং সংলাপই যেকোনো সংঘাত সমাধানের একমাত্র উপায়। এই মর্মান্তিক সংকটের অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক উদ্যোগকে সহজতর করার জন্য অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে ঢাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ আশা করে, এই প্রক্রিয়াটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা প্রবেশ পুনরায় শুরু এবং গাজার জনগণের দুর্ভোগের অবসান ঘটাবে। বাংলাদেশ আরও আশা করে, সংলাপের মাধ্যমে গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়া একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করবে।

গাজায় শান্তি বজায় রাখতে এবং পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের অনুসরণে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের প্রতি অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে ঢাকা। আর পূর্ব জেরুজালেম হবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় পাস হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ