ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসা বাড়িতে ঢুকে মুঠোফোন হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ চক্রের তিন নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন তিশা আক্তার (২১), ঈশা আক্তার (১৮) ও জেসমিন (৪২)। গত ২৫ সেপ্টেম্বর শাহজাহানপুরে ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে গেলে পুলিশ তিশা ও ঈশাকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে ৭ অক্টোবর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের সামনে থেকে চক্রের আরেক সদস্য জেসমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর তিশা ও ঈশা ধানমন্ডি ৬ নম্বর রোডের একটি ফ্ল্যাটে বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ঢোকেন। এ সময় তাঁরা কৌশলে ওই বাসা থেকে তিনটি দামি মুঠোফোন চুরি করে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে ধানমন্ডি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। এর ১৩ দিন পর ১৯ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি ৫ নম্বর রোডের অপর একটি বাসা থেকে একই কায়দায় আরও একটি দামি মুঠোফোন চুরি করে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে তাঁদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি মডেল থানায় আরেকটি মামলা করা হয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর শাহজাহানপুরে একটি ফ্ল্যাটে একই কায়দায় মুঠোফোন চুরি করতে গিয়ে তিশা ও ঈশা আটক হন।

পুলিশ কর্মকর্তা তালেবুর রহমান বলেন, আটক তিশা ও ঈশাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পরে তাঁদের ধানমন্ডি থানায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে তাঁরা তাঁদের চক্রে জেসমিনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে ৭ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের সামনে থেকে জেসমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিন নারী ধানমন্ডি, কলাবাগান, সবুজবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একই কায়দায় মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে আসছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর স প ট ম বর ধ নমন ড

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় সভা-সমাবেশে ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা

চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন এলাকায় আগামী ৩০ দিনের জন্য সব ধরনের মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন ও পথসভা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক ও নির্বিঘ্ন রাখতে শনিবার (১১ অক্টোবর) থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

আরো পড়ুন:

কিশোরীকে তুলে কবরস্থানে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

কুড়িগ্রামে ‘অরক্ষিত’ হাউজে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর

 

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা এলাকাগুলো হলো- চট্টগ্রাম নগরের বারেক বিল্ডিং মোড়, নিমতলা মোড়, ৩ নম্বর জেটি গেট, কাস্টমস মোড় ও সল্টগোলা ক্রসিংসহ চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন এলাকা।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের মোট আমদানি ও রপ্তানির সিংহভাগ কার্যক্রম চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার পণ্যবাহী যানবাহন বন্দরে চলাচল করে। ফলে বন্দর এলাকার ট্রাফিক স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বন্দর এলাকায় মিছিল, সভা-সমাবেশ বা মানববন্ধন আয়োজনের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়ে বন্দরের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৮-এর ৩০ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

নিষিদ্ধ এলাকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- বারেক বিল্ডিং মোড়, নিমতলা মোড়, ৩ নম্বর জেটি গেট, কাস্টমস মোড় ও সল্টগোলা ক্রসিংসহ চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন এলাকা। এই নিষেধাজ্ঞা শনিবার (১১ অক্টোবর) থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের জন্য বলবৎ থাকবে।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ