বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক কমিটি গঠন
Published: 11th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের আলী আহম্মদ চুনকা পৌর মিলনায়তনে এক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুমকে সভাপতি ও তারেক বাবুকে সাধারন সম্পাদক করে বাপা’র এ কমিটি গঠন করা হয়।
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বাপা’র নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট এ বি সিদ্দিক। বক্তব্য রাখেন বাপা’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডঃ নুর মোহাম্মদ তালুকদার, সহ-সভাপতি মহিদুল হক খান, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক হাসান খান, জাহিদুল হক দীপু, বাপা’র জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, সহ-সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, এডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম, পপি রানী সরকার, সুলতানা আক্তার প্রমুখ।
কমিটিতে অন্যরা হলেন, সহ- সভাপতি জাহিদুল হক দিপু, জিয়াউল ইসলাম কাজল, মজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমিত সাহা, সুলতানা আক্তার, শাজাহান মোড়ল, কার্যকরী সদস্য এড.
বক্তব্যে বাপা’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডঃ নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, ৬৫ বছর আগে যখন নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে যেতাম তখন নারায়ণগঞ্জ ছিলো অনেক পরিস্কার, বৃক্ষশোভিত। শীতলক্ষার পানি ছিলো খুবই স্বচ্ছ। বাতাস ছিলো স্বাস্থকর। কিন্তু আজ তা কল্পনার মতো মনে হয়।
বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশে আট ফুট পলিথিন। শীতলক্ষার তলদেশে চার ফুট পলিথিন। একসময় নায়াগ্রা জলপ্রপাতের অবস্থা আমাদের শীতলক্ষা, বুড়িঙ্গার চাইতে খারাপ ছিলো। কিন্তু বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যায় করে তা পরিস্কার করা হয়েছে, এবং রক্ষা করা হয়েছে।
বাপা’র কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর কবির একসময় যখন নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইল খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো তখন বাপা’র উদ্যোগে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। ফলে এ খাল রক্ষা পেয়েছে। এবং এখন নারায়ণগঞ্জবাসির বেড়ানোর জায়গায় পরিণত হয়েছে। একইভাবে আন্দোলন তৈরী করে নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।
আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি এডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ পরিস্থিতি, শীতলক্ষ্যা বাঁচাও, পলিথিন ও যানজট মুক্ত নগরী গঠনের প্রত্যয় করে বলেন, সারা বাংলাদেশের মতন আমরো নারায়ণগঞ্জের পরিবেশকে বাঁচাতে চাই। পরিবেশকে দূষণমুক্ত করতে হলে যার যার জায়গা থেকে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুর বিস্তৃতির প্রধান কারন পরিবেশ দূষণ। প্লাষ্টিক, পলিথিন দুই বিল্ডিংয়ের সংকীর্ণ অংশসহ এমন সব জায়গায় ছড়িয়েছে যে তাদের অপসারণ করা খুব কঠিন। আবার অপসারণ করলেও তাদের নারায়ণগঞ্জেরই কোথাও ফেলে রাখতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় রি-সাইকেল সিস্টেম গড়ে ওঠেনি। এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনসহ প্রশাসনেরও অবহেলা রয়েছে। ফলে এসব পলিথিন-প্লাষ্টিকে বৃষ্টির পানি আটকে মশার লার্ভা তৈরী হচ্ছে। মশাবাহিত রোগের বিস্তৃতি হচ্ছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র ন ন র য়ণগঞ জ র ন র য়ণগঞ জ ব র রহম ন ম হ ম মদ ল ইসল ম শ তলক ষ এডভ ক ট পল থ ন পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জ মহানগরীতে টাইফয়েড টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের টাইফয়েড টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এ বছর ২ লক্ষাধিক শিশুকে এ টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে টিকা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। এ সময় প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাফিয়া ইসলাম নিজের মেয়েকে প্রথম টিকা প্রদান করে অভিভাবকদের মধ্যে থাকা টিকাভীতি দূর করেন।
সকালে শহরের ইসদাইরস্থ ইমপেরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ওই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-ইমপেরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ সালিনা এ চৌধুরী, সিটি কর্পোরেশনের টিকা কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মো. জাকির হোসেন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে এ টাইফয়েড টিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ১০ দিন স্কুলে স্কুলে এ টিকা দেয়া হবে। সকল অভিভাবকদের আরও সচেতন হয়ে এ কার্যক্রমে এগিয়ে আসা উচিত।
অনুষ্ঠানে মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম বলেন, এ টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। টিকা নিয়ে অনেক গুজব থাকলেও সেগুলো সঠিক নয়।
সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ২ লাখ ১৫ হাজার শিশুকে টাইফয়েড টিকা দিবে সিটি কর্পোরেশন। আগামী ১০ কার্যদিবস স্কুলে স্কুলে ও পরে আরো ৮ দিন স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলবে।